/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/26/rakesh-2025-08-26-17-09-58.jpg)
কে এই অভিনেতা?
রাকেশ রোশন জন্মেছিলেন সঙ্গীত পরিচালক রোশন ও তাঁর স্ত্রী ইরার ঘরে। তাঁর আসল নাম ছিল রাকেশ নাগরাথ। তখন তাঁর বাবা সংগীত-জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে সংগ্রাম করছিলেন। রাকেশ বলেন, "আমার জন্ম বোম্বেতে, হুসনলাল-ভগতরামের গ্যারেজে। বাবা দিল্লি থেকে এসে সেখানে থাকতেন, তাই আমার জন্মও সেই গ্যারেজেই। পরে বাবা কাজ পেলে আমরা সান্তাক্রুজে যাই, শৈশব কেটেছে সেখানেই।"
অভিনয়ের সুযোগ পেতে তিনি পদবি নাগরাথ থেকে বদলে রোশন রাখেন, যাতে প্রযোজকরা বুঝতে পারেন তিনি রোশনের ছেলে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাবাকে হারান, এরপর পরিবারকে চালাতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন।
১৯৭০ সালে ঘর ঘর কি কাহানি ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে তাঁর অভিনয় শুরু। পরে সীমা ছবিতে নায়ক হন, কিন্তু ব্যর্থ হন। আঁখ মিচোলি, আঁখোঁন আঁখোঁনে’র মতো নায়ক চরিত্রের ছবি চলেনি। শেষমেষ খাট্টা মিঠা, খুবসুরত-এর মতো হিট ছবিতে সহায়ক চরিত্রে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, “৯৪টি ছবির মধ্যে ৭০টিতে আমি নিজে ফোন করে সুযোগ চেয়েছি। স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি।”
সংগ্রামের সময় মাসিক বিল দিতেও বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার করতে হতো। তাঁর ভাষায়, “প্রায়ই বন্ধুকে বলতাম, ৫০০০ টাকা ধার দাও, বিল দিতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতাম, তবু সাফল্য আসত না।”
ডিস্ট্রিবিউটররা তাঁকে 'অপয়া' মনে করত। ১৯৭৭ সালে প্রিয়তমা ছবিতে তাঁর জায়গায় বন্ধু জিতেন্দ্রকে নেওয়া হয়। নায়িকা নীতু কাপুরও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাননি। রাকেশ বলেন, "প্রযোজক জানালেন, আমি থাকলে সিনেমা বিক্রি হবে না। বসুদা আমাকে অন্য চরিত্র দিলেন, তবু ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম। ছাদে উঠে ঈশ্বরকে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন এমন করছ?"
ঋষি কাপুর ও জিতেন্দ্রর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁকে ও স্ত্রী পিঙ্কিকে গ্রুপ ফটো থেকে সরিয়ে দেওয়া হতো। রাকেশ বলেন, "আমার জন্য খারাপ লাগত না, কিন্তু পিঙ্কির জন্য খারাপ লাগত, কিছুই করতে পারতাম না।"