Patriotic Songs: আপনি যদি দেশপ্রেমিক হয়ে থাকেন তবে এই ৬টি দেশাত্মবোধক গানের ইতিহাস নিশ্চয় জানবেন!

Indian Patriotic songs: নানা গান যা ভারতেকে বারবার শক্তি জুগিয়েছে, এর সংখ্যা কিন্তু কম নেই। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন গান, মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে মানুষকে।

Indian Patriotic songs: নানা গান যা ভারতেকে বারবার শক্তি জুগিয়েছে, এর সংখ্যা কিন্তু কম নেই। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন গান, মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে মানুষকে।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
songs indian patriotic

কোন কোন গান শুনবেন দেখে নিন

দেশের সীমান্তে এখন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। পাকিস্তানের জঙ্গি-গোষ্ঠীর তরফে পহেলগাঁও হামলায় যেভাবে ২৬জন নিরীহ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল তারপর থেকেই আলোচনা। এমনকি, সারা দেশের মানুষ ক্ষেপে গিয়েছিলেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত রুঢ় পদক্ষেপ সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছি। 

Advertisment

দেশপ্রেমের গল্প ভারতের বুকে কম নেই। নানা সময়ে ভারতীয় প্রেক্ষাপটে নানা ছবি যেমন তৈরি হয়েছে ঠিক তেমন, নানা গান যা ভারতেকে বারবার শক্তি জুগিয়েছে, এর সংখ্যা কিন্তু কম নেই। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন গান, মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে মানুষকে। 

বন্দেমাতরম, লেখক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সুরকার: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এই গানের ইতিহাস রয়েছে, উপন্যাস আনন্দমঠ (১৮৮২)-এ প্রথম প্রকাশ। গানটি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় বিপ্লবীদের প্রেরণার মন্ত্রে পরিণত হয়। এই গানের গুরুত্ব ভারতের জাতীয় গান। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিপ্লবীরা “বন্দে মাতরম” ধ্বনি দিয়েই প্রাণ দিতেন।

Advertisment

জন গণ মন, লেখক ও সুরকার: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইতিহাস: ১৯১১ সালে প্রথম গাওয়া হয় কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে। ১৯৫০ সালে এটি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয়। দেশের ঐক্য ও বহুত্ববাদকে তুলে ধরে।

সারে জাহাঁ সে আচ্ছা, লেখক: মুহাম্মদ ইকবাল, সুর: রাম সিং ঠাকুর (বর্তমানে প্রচলিত সুর)।ইতিহাস ১৯০৪ সালে লেখা, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগানোর উদ্দেশ্যে।  ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এটি খুবই জনপ্রিয়। এখনো দেশপ্রেম ও ঐক্যের প্রতীক।

এ মেরে ওয়াতান কে লোগো, গায়িকা: লতা মঙ্গেশকর, লেখক: কবি প্রদীপ, সুরকার: সি. রামচন্দ্র এই গানের পিছনে, ইতিহাস ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধের পর শহিদদের স্মরণে এই গানটি লেখা হয়। ১৯৬৩ সালে দিল্লির জাতীয় স্তরে গানটি গাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু কান্নায় ভেঙে পড়েন। এটি আজও অন্যতম আবেগঘন দেশাত্মবোধক গান।

চলো দিল্লি" / "কদম কদম বাড়ায়ে যা", লেখক ও সুরকার: রাম সিং ঠাকুর, এই গানের ইতিহাস নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ-এর যুদ্ধগান। সেনাদের প্রেরণার মূল গান ছিল এটি। এখনো ভারতের বিভিন্ন সামরিক অনুষ্ঠানে বাজানো হয়। একে নেতাজির প্রতীক গান হিসেবেও ধরা হয়।

মা তুঝে সালাম, গায়ক ও সুরকার এ আর রহমান, এই গানের ইতিহাস ১৯৯৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি অ্যালবাম Vande Mataram-এর অংশ। সম সাময়িক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গান। দেশপ্রেমের সঙ্গে আধুনিক সঙ্গীতের সংমিশ্রণ।

Indian army OPERATION SINDOOR