ক্রমাগত ব্যস্ততা মানুষকে গ্রাস করছে। এই সমাজের বেশিরভাগ মানুষ, আজ মানসিক অবসাদ ভুগছেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের অবসাদের মাত্রা এতটাই অতিরিক্ত যে, রীতিমতো একাকীত্বে থাকতে তাঁরা পছন্দ করছেন। একেই না হচ্ছে চাকরি না হচ্ছে বাকরি। মানুষ সঠিক পথে লাভের আশায় দিন দিন যেন আরও অদ্ভুত আচরণ শুরু করছেন। রাস্তায় বসে আছেন চাকুরিজীবীরা।
একদিকে মানসিক অবসাদ অন্যদিকে, জীবনে যা চাওয়া হচ্ছে সেটা না পাওয়ার দুঃখ। চারিদিকে যেন শুধুই হতাশা। আবার যারা শিক্ষাগত যোগ্যতায় সাংঘাতিক এগিয়ে, তাঁরা যেন নিজেদের মনমতো চাকরি পাচ্ছে না। সেই হতাশাও গ্রাস করছে তাঁদের। কিন্তু মনোবল হারিয়ে ফেলবেন না। মনোবল হারিয়ে ফেললে এই দুনিয়ায় কিছুই হওয়ার নয়। কারণ? মন হচ্ছে মানসিক স্থিতি বজায় রাখার একমাত্র অঙ্গ। মন যদি কিছু জানান দিয়ে দেয়, তাহলে মানসিকভাবে সেই কাজ করে ফেলা অসম্ভব না।
Parambrata Chatterjee: 'আমি তো তাঁদের নখের যোগ্য নই...', পরমব্রত কি চূড়ান্ত আঁতেল? সাফাই গাইলেন অভিনেতা...
কিন্তু, মন যদি সঙ্গ না দেয়, তাহলে কোন ধরনের ছবি দেখা যেতে পারে? জীবনে যদি, একবার কিছু কারণে হলেও মনোবল ভাঙতে শুরু করে, তাহলে এই ছবিটা না দেখলেই না। বরং এই একটাই ছবি আপনার জীবনের হাল হকিকত সব পাল্টে রেখে দিতে পারে। সিনেমা যদিও বা বাস্তব জীবনের গল্প বলে। শুধু তাই নয়, মানুষের জীবনের সঙ্গে যায়, এমন কিছু যা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে, সেটাই দেখানো হয়। এমনই একটি ছবি যা গোটা ভারতকে উদ্বুদ্ধ করে তুলেছে, যা গোটা ভারতের মন আরও শক্ত করেছে। এবং শিখিয়েছে কী করে হাল না ছেড়ে জীবনের লক্ষ্য পূরণ করা যায়।
কী সেই ছবি?
সেই ছবি এক ছেলের নিজের লক্ষ্য পূরণ করার গল্প। সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণের গল্প। মধ্যবিত্ত বাড়ির এক ছেলের সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে, আইনের সঙ্গে লড়াই করে সকলের কাছে এক আইকন হয়ে ওঠার গল্প। এই গল্প এমন এক আইপিএস এর, যার চোখে স্বপ্ন এবং মনে আশা ছিল প্রবল। এবং বাস্তবের এক আইকনের জীবনের ওপর ভিত্তি করেই নির্মিত এই গল্প।
ছবির নাম 12th ফেল। এই ছবি দেখলে আরেকবার হলেও, নিজের স্বপ্নকে বাঁচতে ইচ্ছে করবে। Ips মনোজ কুমারের জীবনের ওপর নির্মিত এই ছবি। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে এই ছবি দেখিয়েছে জেদ পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা কীভাবে ভাগ্যকে নতজানু হতে বাধ্য করে। ছবির পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া। মনোজ কুমারের ভূমিকায় অভিনয় করেন বিক্রান্ত মাসে।