Tiku Talsania Health Update: বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা টিকু তালসানিয়া। হিন্দি সিনেমা ও সিরিয়ালে তাঁর অভিনয় চেটেপুটে উপভোগ করে দর্শক। শুক্রবার মুম্বইয়ে সিনেমার প্রিমিয়ারে সকলের সঙ্গে হই-হুল্লোড়ও করেছেন। কিন্তু, রাত আটটা নাগাদ শরীরটা আচমকা খারাপ হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টিকুর ভক্তরা।
অভিনেত্রী রেশমি দেশাই-ও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলে অভিনেতা। সেই প্রসঙ্গে NDTV-কে টিকু তালসানিয়ার স্ত্রী দীপ্তি জানিয়েছেন, হৃদরোগ নয় ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল অভিনেতার।
দীপ্তির বিবৃতি, 'ওঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল। সিনেমার স্ক্রিনিংয়ে গিয়েছিলেন। ওখানে গিয়ে শরীরটা হঠাৎই খারাপ হতে শুরু করে। তখন রাত আটটা। একটুও দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।' প্রসঙ্গত, প্রিমিয়ারে যখন বমি শুরু হয় তখনই হুইলচেয়ারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলেই খবর। রাজা হিন্দুস্থানি, আন্দাজ আপনা আপনা, ধামালের মতো ছবিতে টিকুর অভিনয় দর্শকমহলে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল।
টিকু তালসানিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে শনিবারই মানি কন্ট্রোল-এর সঙ্গে কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী রেশমি দেশাই। তিনি বলেন, 'আমাদের মিটিংটা দারুণ ছিল। টিকু স্যার খুব ভাল মানুষ। যেটা ঘটেছে সেটা খুবই দুভার্গ্যজনক। যখন প্রিমিয়ারে এসেছিলেন তখন তো ঠিকই ছিলেন। একটা সময় আমি একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। তবে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগের থেকে এখন অনেকটাই ভাল আছেন। আমরা প্রত্যেকে ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।'
গোলমাল হ্যায় ভাই সব গোলমাল হ্যায়', 'জিন্দেগি অভি বাকি হ্যায় মেরে ঘোস্ট', 'সজন রে ফির ঝুট মত বলো', 'উত্তরণ'-এর মেগায় টিকুর অভিনয় আজও ভোলেনি দর্শক। টিকু তালসানিয়ার দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ইশক, জোড়ি নম্বর ১, দেবদাস, 'দিল হ্যায় কি মানতা নেহি', 'উমর ৫৫ কি দিল বচপন কা', 'বোল রাধা বোল', 'মিস্টার বেচারা' প্রমুখ।
২০২৪-এ ভিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিও-তে শেষবার দেখা গিয়েছে টিকু তালসানিয়াকে। টিকুর দুই সন্তান রোহন তালসানিয়া ও শিখা তালসানিয়া। টিকুর মেয়ে শিখাও পেশায় একজন অভিনেত্রী। সত্যপ্রেম কি কথা, ভীর দি ওয়েডিং ও পটলাকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মিউজিক কম্পোজার হিসেবে কাজ করেন রোহন।