উত্তরপাড়াবাসী (Uttarpara) জবাব দিয়েছেন 'দলবদলু সুখের পায়রা'দের! ২মে, রবিবার সন্ধেবেলা কাঞ্চন মল্লিকের (Kanchan Mullick) জয়ের পর থেকে এই একটাই কথা ঘুরছে এলাকার ঘাসফুল শিবির সমর্থকদের মুখে মুখে। প্রতিপক্ষ বিজেপিপ্রার্থী প্রবীর ঘোষালকে (Prabil Ghoshal) হারিয়ে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র এখন কাঞ্চনের। রাজ্য-রাজনীতিতে যে সময় দাপুটে নেতা-মন্ত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশ থেকে সরে গিয়ে মোদী-মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিলেন, ঠিক সেই টালমাটাল পরিস্থিতিতেই দিদির হাত শক্ত করতে আদি কালীঘাট নিবাসী অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক এগিয়ে আসেন। 'বহিরাগত' খোঁটা শুনতে হয়েছিল প্রথমটায়। কিন্তু গত দেড় মাসে এলাকাবাসী তাঁর ঘরের ছেলে-সুলভ আচরণে পুরোদস্তুর আত্মীয় হয়ে উঠেছেন। অতঃপর বিজেপিতে যাওয়া পূর্ব বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে ভোটবাক্সে যোগ্য জবাব দিতেও ছাড়েননি তাঁরা। প্রায় ৩৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে পদ্ম-প্রার্থীকে পরাস্ত করেছেন কাঞ্চন। তবে প্রথমবারের নির্বাচনী পরিক্ষার্থীর মার্কসিটে তুখড় রেজাল্টের পরও মাটিতে পা। কারণ, 'হবু-বিধায়ক' কাঞ্চন মল্লিক নিজেকে বিধায়কের চেয়েও 'জননেতা' হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।
অভিনেতা থেকে নয়া পদ পেয়ে বেজায় আপ্লুত একুশের বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া কাঞ্চন মল্লিক। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, উত্তরপাড়াবাসীকে। বলেছেন, "এযাবৎকাল আমাকে আপনারা শুধুমাত্র একজন অভিনেতা হিসেবে দেখে এসেছেন। প্রচুর ভালবাসাও দিয়েছেন আমাকে। জানি, আগামী দিনেও একইভাবে ভালবাসবেন। ২০২১-এ আমার নতুন জীবন। মা-মাটি-মানুষের হাত ধরে রাজনীতিতে পা রেখেছি। সেখানেও সফল হতে সবার ভালবাসা ও আশীর্বাদের প্রয়োজন ছিল। জনতা আমাকে ফেরাননি।" তাই এই জয় তিনি উত্তরপাড়াবাসীকেই উৎসর্গ করেছেন।
পাশাপাশি অভিনেতা তথা তৃণমূলের (TMC) জয়ী প্রার্থী এও মন্তব্য করেছেন, "সকলের শুভ কামনায়, ভালবাসায় আমি বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। যদিও নিজেকে 'জননেতা কাঞ্চন মল্লিক' হিসেবেই সবার সামনে তুলে ধরতে চাই।" অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি জননেতা হিসেবেও জনগণের কাছে সফল হতে চান। নিজের এলাকাবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে চান।