করোনা টিকা নিয়ে আগেভাগেই নির্বাচনী প্রচারে ময়দানে নামতে প্রস্তুত ছিলেন চিরঞ্জিৎ (Chiranjeet)। আর শুক্রবার তৃণমূলের তরফে বারাসত বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করতেই, পরদিন সকালে তড়িঘড়ি হাজির হলেন নিজস্ব কেন্দ্রে। স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। শুধু তাই নয়, বারাসত কেন্দ্র থেকে তিনি যে এবারেও জিতছেন, সেই বিষয়ে একেবারে আশাবাদী চিরঞ্জিৎ।
বৈঠক সেরেই তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়কের দাবি, "বারাসতে হ্যাটট্রিক করব।" শুক্রবারই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একেবারে তারকা-খচিত প্রার্থী তালিকা। বলা ভাল, একুশের রণক্ষেত্রে (West Bengal Assembly Election 2021) গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির উপর ভরসা রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই প্রেক্ষিতে দেবশ্রীর থেকে চিরঞ্জিতে ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দিদির ভরসার পাত্র হয়ে নির্বাচনের প্রাক্কালে একেবারে কোমর বেঁধেই নেমে পড়েছেন টলিউড অভিনেতা তথা বারাসতের বিদায়ী বিধায়ক।
শনিবার সকালে বারাসতের পুরভবনে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মিটিং করলেন চিরঞ্জিৎ। তৃতীয়বার জিততেও দলীয় ঐক্যের প্রতিই আস্থা রেখেছেন তিনি। তবে শনিবারের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর নারায়ণ গোস্বামী, পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়ের মতো স্থানীয় নেতারা। মমতার কাছে অব্যহতি চাওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন যে এবার বুঝি, চিরঞ্জিতের পরিবর্তে তাঁরা টিকিটের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতেই দেখা গেল অন্য চিত্র। ফের তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রতি আস্থা রেখেছেন চিরঞ্জিৎ।
অভিনেতার মন্তব্য, যাঁরা বারাসতে টিকিটের দাবিদার ছিলেন অথচ মনোনীত হননি, তাঁদেরও পাশে চাই আমি। অর্থাৎ দলীয় ঐক্যই যে বারাসত কেন্দ্রে লক্ষ্যভেদের মূল অস্ত্র, তা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন চিরঞ্জিৎ। তাঁর সাফ কথা, বিগত ১০ বছরে কোনও কাজই আটকে থাকেনি, তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও বহিরাগত ইস্যু খাটবে না। আগামী আরও ৫ বছর বারাসতের মানুষের সেবা করতে পারবেন বলেও আশাবাদী অভিনেতা।