রাজনীতি ময়দানে অভিষেক ঘটেছে সদ্য। তৃণমূল যোগ দিয়েই ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করার টিকিট পেয়েছেন। কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার মতো গেরুয়া ঘাঁটিতে (২০১৯ লোকসভা ভোটের নিরীখে) দলনেত্রী ভরসা রেখেছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের (Koushani Mukherjee) উপর। একুশের রণক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে মমতার একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে তিনিই লড়বেন বিজেপির বিরুদ্ধে। আর সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে কৃষ্ণনগরের ময়দানে নেমে পড়েছেন টলিউড অভিনেত্রী। নির্বাচনী প্রচারে নেমেই ভোটপ্রার্থনা করার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা তাঁর মুখে। বলছেন, "দিদিই দুর্গা, তিনিই বাঁচাবেন।"
ভোট না হওয়া অবধি একমুহূর্তের জন্যও নিজের কেন্দ্র থেকে সরতে চান না তিনি। তাই কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) বাড়িভাড়া খোঁজাও শুরু করে দিয়েছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। তবে দু'দিন আপাতত হোটেলে রাত্রিবাস করেই নির্বাচনী প্রচার চালাবেন। মঙ্গলবার সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়েই প্রচার শুরু করলেন তিনি। সাধারণের সঙ্গে মিশে গিয়ে কখনও বাজার ঘুরলেন, আবার কখনও বা কাছে টেনে নিলেন দুস্থ বৃদ্ধাকে।
প্রসঙ্গত, ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে অনেক আগেই। বাংলার অলিতে-গলিতে এখন একুশের নির্বাচনী (West Bengal Assembly Election 2021) আমেজ। ফ্ল্যাক্স, পোস্টার, দেওয়াল লিখনে এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়…! শেষমুহূর্তের ভোট প্রস্তুতিও তুঙ্গে। প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ঘাসফুল শিবিরের তরফে আদা-জল খেয়ে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন তারকারা। আসানসোলে সায়নী ঘোষ, মেদিনীপুরে জুন মালিয়া, বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রা যখন ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানে ঝড় তুলেছেন, তখন কৃষ্ণনগরে কৌশানী মুখোপাধ্যায়ও বাদ গেলেন না সেই তালিকা থেকে। ইতিমধ্যেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগর উত্তরে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী।
দলনেত্রীর মা-মাটি-মানুষ আদর্শে ভরসা রেখে 'দিদির দূত' হিসেবে পৌঁছে গিয়েছেন জনসাধারণের দুয়ারে দুয়ারে। কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, "লড়াইটা বিজেপির এতগুলো নেতার সঙ্গে দিদির। জনগণ দেখছে। দিদির জন্যই সকলে আমায় ভোট দেবেন। দিদিই দুর্গা, তিনিই বাঁচাবেন।" নিজের প্রথম ছবি 'পারব না আমি ছাড়তে তোকে'র শুটিং শুরু করেছিলেন কৃষ্ণনগর থেকেই। তাই এই জায়গার যে একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে তাঁর কাছে, সেকথাও জানালেন অভিনেত্রী। জিতলে কৃষ্ণনগরের মানুষদের যাবতীয় সমস্যা মেটানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।