মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে পা রেখেই তৃণমূলের তরফে নির্বাচনী টিকিট পেয়েছেন। কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে দিদির ভরসার পাত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee)। প্রতিদ্বন্দ্বীও হেভিওয়েট। বিজেপির হেভিওয়েট মুখ মুকুল রায় (Mukul Roy)। অতঃপর গেরুয়া শিবিরের ডাকসাইটে নেতাকে ভোটবাক্সে পরাস্ত করতেই পারলেই কৌশানীর কেল্লাফতে! বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ভোটপ্রচারের ময়দান বিতর্কও সঙ্গী হয়েছে, তবে লক্ষ্যে অবিচল তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। আগামী ২২ এপ্রিল অর্থাৎ রাজ্যের ষষ্ঠ দফাতেই (West Bengal Assembly Election 2021) কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। তার আগেই নির্বাচন কমিশনের (EC) কাছে হলফনামায় নিজস্ব সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিলেন কৌশানী। প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাঁর নামে। ব্যাঙ্কে ঋণের বোঝাও পেল্লাই।
কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় নিজের উপার্জন এবং সম্পত্তির বিবরণ দিয়েছেন তৃণমূলপ্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে অভিনেত্রীর উপার্জন ছিল ১৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৭০ টাকা। এইমুহূর্তে তাঁর হাতে আছে ২ লক্ষ ৫২ হাজার ১৭০ টাকা। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে ৪৯ হাজার ৭২ টাকা, ৫৬ হাজার ৩১০ টাকা এবং ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৮১ টাকা। স্থায়ী আমানত রাখা আছে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার। ,তাঁর কাছে থাকা সোনার গয়নার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা।
এছাড়াও এনএসএস, ডাকঘর এবং জীবনবিমায় কৌশানী বিনিয়োগ করেছেন ৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮০ টাকা। ব্যাঙ্কে ঋণের বোঝাও রয়েছে তাঁর কাঁধে। ২০১৮ সালে বিএমডব্লিউ কিনেছিলেন। যার বাজারদর ৩৬ লক্ষ টাকা। সেই সময়ে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়েছিলেন ২২ লক্ষ ৫০ হাজার ৫২৪ টাকা। এছাড়াও, গতবছর একটি ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন। সেই সময়েও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে হয়েছিল তাঁকে। যেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের দাম ৮০ লক্ষ টাকা। নতুন ফ্ল্যাটের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়েছিলেন প্রায় ৫৯ লক্ষ টাকা। অতঃপর ফ্ল্যাট এবং গাড়ির ঋণ এখনও বইতে হচ্ছে কৌশানীকে। সবমিলিয়ে ৮০ লক্ষ টাকার দেনা রয়েছে ব্যাঙ্কে।