রাজ্যের ষষ্ঠ দফা ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) সকালে রণক্ষেত্র ব্যারাকপুর। লালকুঠির এক এবং দু’নম্বর বুথে রাজ চক্রবর্তীকে (Raj Chakraborty) ঘিরে‘গো ব্যাক’ স্লোগান। সেই সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর উদ্দেশে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের গগনভেদী মন্ত্র- ‘জয় শ্রীরাম’। অতঃপর বুথ পরিদর্শনে গিয়ে চরম বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যের শাসক দলের তারকাপ্রার্থীকে। তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন রাজ। বরং, অর্জুন সিং (Arjun Singh)-গড়ের পালে বিজেপির হাওয়া থাকলেও খানিক মজাই পেয়েছেন তিনি। কারণ, বিক্ষোভের মাঝেই পদ্মবাহিনীর কোনও এক কর্মী নাকি ঘাসফুল শিবিরের তারকাপ্রার্থীর কানে কানে এসে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন, "ভোটটা আপনাকেই দেব। চিন্তা করবেন না! আপনি যান।"
এপ্রসঙ্গে রাজ চক্রবর্তীর সাফ মন্তব্য, "পুরো বিষয়টিই মজার। আমি বিজেপিপ্রার্থী চন্দ্রমণি শুক্লা এবং সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী দেবাশীষ ভৌমিকের সঙ্গেও দেখা করে অনুরোধ করেছি যে ভোটটা শান্তিপূর্ণভাবে হতে দিন। ব্যারাকপুরে সবসময় একটা উত্তপ্ত পরিস্থিতি থাকে, আজ ভোটের দিন যেন সেটা না হয়। আসলে ক্যামেরার সামনে হাইলাইট তো হতে হবে! তাই এমন কর্মকাণ্ড বিজেপির। বিক্ষোভের মাঝে তো একজন আমাকে এও বলে বসল যে, 'ম্যা আপকো হি ভোট দুঙ্গা। চিন্তা মত কিজিয়ে!' ব্যারাকপুরের বেশিরভাগ বিজেপি ভোটই তৃণমূলে আসছে।"
তারকা প্রার্থী নন, বরং নিজেকে যোদ্ধা হিসেবেই দেখছেন বিধানসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, "আমরা কিছু কিছু সিনেমার ট্রেলার এবং প্রোমো দেখে আগে থেকেই বুঝতে পারি, সিনেমাটা কোনদিকে যেতে পারে। ভোটের ক্ষেত্রে যেভাবে মানুষের সমর্থন পেয়েছি, তাতে মনে হচ্ছে আজ সিনেমাটা হিট করে যাবে। আমাদের ৩০-৩৫ হাজার ভোটের লিড থাকবে ৷"
প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুরে রাজের প্রতিপক্ষ বিজেপি (BJP) প্রার্থী চন্দ্রমণি শুক্লা (Chandramani Shukla)। মাস খানেক আগেই যাঁর ছেলে খুন হয়েছেন। সেই ‘মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে’র আবেগও ব্যারাকপুরের (Barrackpore) আসন জিততে পদ্ম শিবিরের হাতিয়ার হতে পারে। কিন্তু প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনী প্রার্থী হয়েও সম্মুখ সমরে নির্ভীক রাজ চক্রবর্তী। অর্জুন-গড়ের আসন জিততে ভোটের দিনও একশো শতাংশ আত্মবিশ্বাসীস শোনাল হালিশহর, কাঁচরাপাড়ার ‘ভূমিপুত্র’কে। বেজায় খোশ মেজাজেই এলাকার বিভিন্ন বুথ পরিদর্শনে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, "একশো শতাংশ আশাবাদী। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছি। দলের কর্মীরা অনেক খেটেছেন। মানুষের ভালোবাসা রয়েছে। আমার বিশ্বাস, দিনের শেষে আমরাই হাসব।"