পদপ্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ব্যাট হাতে ব্যারাকপুরের ক্রিজে নেমে পড়েছেন রাজ চক্রবর্তী। অর্জুন-গড়ের পিচে বাউন্স আছে কিনা, তা জানতে খানিক সময়ের প্রয়োজন হলেও ‘দিদির প্রিয় পাত্র’ তৃণমূলের এই তারকাপ্রার্থী কিন্তু দাপিয়ে ব্যাটিং চালাতে ছাড়ছেন না। ছক্কা হাঁকাতে নয়া স্লোগানও হাতিয়ার করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে- "বিজেপি গুন্ডা হায় হায়, ব্যারাকপুর দিদিকে চায়।" আজ্ঞে! 'সিনেম্যাটিক' এই স্লোগানেই ঝড় তুলেছেন রাজ চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুরের তৃণমূল (TMC) পদপ্রার্থী হয়েই অর্জুন সিংকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। বিজেপি সাংসদকে তোপ দেগে বলেছিলেন, “চ্যালেঞ্জ নিবি না…। ব্যারাকপুরের সিট আমি দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) উপহার দেব।” এটা অবশ্য অর্জুন সিংয়ের 'যাকে-তাকে টিকিট দেওয়া' মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজের উত্তর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্র বেজায় গুরুত্বপূর্ণ, তাই তৃণমূলের তরফে হেভিওয়েট কোনও প্রার্থীকেই দরকার ছিল। সেক্ষেত্রে ‘দিদি’ ভরসা রেখেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর উপর। পদপ্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর স্থানীয় শীর্ষ নেতৃত্বরা তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, সেই তিক্ততা এখন অতীত। বৈঠক করে রাজের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁরা ব্যারাকপুর সিট জেতার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন।
একুশের বিধানসভা (West Bengal Assembly Election 2021) ভোটে ঘাসফুল শিবিরের তরফে গুরুদায়িত্ব পেয়ে ইতিমধ্যেই আদা-জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন টলিউড পরিচালক। রাজনীতির ময়দানে নতুন, তাই অ-আ-ক-খ শেখাটা মাস্ট! অতঃপর দলের অগ্রজ ডেরেক’ও ব্রায়েনের কাছে রাজনীতির পাঠ নেওয়াও শুরু করেছেন। অর্জুনকে বিঁধে তাঁর সাফ কথা, “ব্যারাকপুরে আর কারও দখলদারিত্ব চলবে না। মেনে নেব না।” আর সেই প্রেক্ষিতেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মুখে মুখে এখন রাজের নয়া স্লোগান- "বিজেপি গুন্ডা হায় হায়, ব্যারাকপুর দিদিকে চায়।" আট থেকে আশির মুখে তা এখন 'হট ফেভারিট' বললেও অত্যক্তি হয় না।
ব্যারাকপুর যে অর্জুন সিংয়ের খাস তালুক, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অলিতে-গলিতে অর্জুনের অঙ্গুলি হেলনই যথেষ্ট। সেই কেন্দ্রকেই বিজেপির দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে দৃঢ় প্রত্যয়ী সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া মমতা-ঘনিষ্ঠ সিনে-পরিচালক। যিনি কিনা জন্মসূত্রে কাঁচড়াপাড়ার এবং যাঁর বড় হয়ে ওঠা হালিশহরে। সেই প্রেক্ষিতেই নিজেকে ব্যারাকপুরের ‘ভূমিপুত্র’ হিসেবে দাবি করেছেন রাজ।