ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021 7th Phase) দিন তৃণমূল পোলিং এজেন্ট বুথের ভিতর দলীয় প্রতীকি আঁকা টুপি পরে বসায় চটে আগুন অগ্নিমিত্রা পাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করে পদ্মপ্রার্থীর মন্তব্য, "মুখ্যমন্ত্রী এই ছোটোখাট নিয়মগুলো শিখিয়ে পাঠান না কেন?" উত্তর কষিয়েছেন তৃণমূলপ্রার্থী সায়নী ঘোষও। বলছেন, "আসলে নিজের মাথার চুল ছিঁড়তে না পেরেই অন্যের মাথার টুপি ছিঁড়ছেন এখন অগ্নিমিত্রা।"
আসানসোল (Asansol) দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের (TMC) ‘তুরুপের তাস’ যেখানে সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh), সেখানে বিজেপির (BJP) বাজি ‘ভূমিকন্যা’ অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul)। যিনি কিনা বিজেপির হেভিওয়েট মুখ তথা মহিলা মোর্চার সভানেত্রীও বটে! আজ, সোমবার রাজ্যের সপ্তম দফা নির্বাচনে ভোটবাক্সে প্রথমবারের দুই নির্বাচনী পরীক্ষার্থীরই ভাগ্যগণনার কঠিন লড়াই। সকাল থেকেই কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথ পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েছেন অগ্নিমিত্রা-সায়নীরা। কখনও মমতা শিবিরের 'স্ট্রিটফাইটার'কে দেখা গেল পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াতে, আবার কখনও বা মোদী-বাহিনীর 'আসানসোল ভূমিকন্যা'কে দেখা গেল বুথে ঢুকে তৃণমূল এজেন্টের পরনে প্রতীকি টুপি টেনে খুলে ফেলতে। এককথায়, তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরের তারকা প্রার্থীই ভোটের দিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ময়দানে। টুপি এজেন্টের সঙ্গে পদ্মপ্রার্থী অগ্নিমিত্রার অনভিপ্রেত আচরণে ছেড়ে কথা বলেননি সায়নী ঘোষও।
একদিকে যখন বুথের ভিতর দলের প্রতীক আঁকা টুপি পরে তৃণমূল প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে পাকড়াও করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ অগ্নিমিত্রা পাল, তখন রেগে অগ্নিশর্মা সায়নী ঘোষও। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তথা একুশে আসানসোলের পদ্মপ্রার্থীর তীব্র ভর্ৎসনা, "নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও দলীয় চিহ্ন নিয়ে বুথে থাকা যায় না। ওই এজেন্ট কি সেটা জানেন না? কী করে ওই ব্যক্তি তৃণমূলের লোগো আঁকা টুপি পরে বসতে পারেন? এজেন্ট কেন জানেন না এই ছোট ছোট নিয়মগুলি? মুখ্যমন্ত্রী কেন শিখিয়ে পাঠান না!"
ঘটনায় পাল্টা ঝাঁজিয়ে উঠলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নীও। বিদ্রুপের সঙ্গে তাঁর সপাট উত্তর, "ওনার পায়ের তলা থেকে আসলে মাটি সরে যাচ্ছে। নিজের মাথার চুল তো ছিড়তে পারছেন না। তাই টুপি ছিড়ে ফেলে দিচ্ছেন!"
আসানসোল দক্ষিণে অগ্নিমিত্রা পাল বনাম সায়নী ঘোষের মধ্যে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। দুই শিবিরের তারকা প্রার্থীই ডাকসাইটে। একজন রাজনীতির ময়দানে নবাগত হলেও কাউকে রেয়াত করে কথা বলেন না! অন্যদিকে কম যান না গেরুয়া শিবিরের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রাও। রাজনৈতিক মহলের একাংশ আগেভাগেই ভবিষ্যদ্বাণী করে বসেছিলেন যে, "এবার আসল খেলা হবে আসানসোলে।" প্রচারের ময়দানে দুই প্রার্থীর যুযুধানের পর এবার ভোটের দিনও সেই উত্তেজনা বহাল রইল। তবে আসানসোল দক্ষিণে শেষ হাসি কে হাসবে? তার উত্তর মিলবে ২মের নির্বাচনী মার্কসিটেই।