কখনও মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। কপালে সিঁদুরে টিপ পড়ে বাংলায় ফের ঘাসফুল ফোটানোর কামনায় রত হচ্ছেন। আবার কখনও বা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের হাত ধরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আল্লাহর কাছে 'দুয়া' চাইতে শোনা যাচ্ছে তাঁকে। এককথায়, সোমবার চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty) যে 'সম্প্রীতির' নজির গড়লেন তাতে মুগ্ধ স্থানীয় মানুষরা।
প্রসঙ্গত, ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে অনেক আগেই। বাংলার অলিতে-গলিতে এখন একুশের নির্বাচনী (West Bengal Assembly Election 2021) আমেজ। ফ্ল্যাক্স, পোস্টার, দেওয়াল লিখনে এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়…! প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ঘাসফুল শিবিরের তরফে আদা-জল খেয়ে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন তারকারা। আসানসোলে সায়নী ঘোষ, কৃষ্ণনগরে কৌশানী মুখোপাধ্যায়, মেদিনীপুরে জুন মালিয়ারা যখন 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়' স্লোগানে ঝড় তুলেছেন, তখন যুব তৃণমূলের (TMC) সহ-সভাপতি তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীও বাদ গেলেন না সেই তালিকা থেকে। ইতিমধ্যেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্র চণ্ডীপুরে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। তবে সোহমের প্রচারের ক্ষেত্রে নজর কেড়েছে, তাঁর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার ধরন।
স্থানীয়দের বাড়ির দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে একেবারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে ভোট প্রচার করলেন সোহম। বুঝিয়ে দিলেন যে, মা-মাটি-মানুষই বাংলার আসল সম্পদ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মাঝে গিয়ে মমতা সরকারের প্রকল্পের কথা বললেন। গ্রাম বাংলার বৃদ্ধা মায়েদের কাছেও করজোড়ে ভোটপ্রার্থনা করতে দেখা গেল তাঁকে। তাঁদের সুবিধে-অসুবিধের কথা শুনলেন। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থীকে এত কাছ থেকে পেয়ে এবং তাঁর ঘরের ছেলের মতো আচরণে খুশি হয়ে যান স্থানীয় মানুষরাও।
উল্লেখ্য, আগামী ১১ মার্চ চণ্ডীপুর কেন্দ্র (Chandipur) থেকে মনোনয়ন জমা দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী। টেনশন তো রয়েইছে। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচন তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জের থেকে কোনও অংশে কম নয়। প্রচারের মাঝেই সোহম বললেন, নন্দীগ্রামের পাশের কেন্দ্র হল চণ্ডীপুর। নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। দলনেত্রী তাঁর পাশে রয়েছেন। তাই এতটুকু ভয় পাচ্ছেন না তিনি। মনে বল, ভরসা সব রয়েছে।