নারদকাণ্ডে (Narada Scam) রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের গ্রেপ্তারির পর নিজাম প্যালেসের সামনে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের তুমুল বিক্ষোভ। বেলা গড়াতেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সংশ্লিষ্ট চত্বর। সামাজিক সুরক্ষাবিধি, লকডাউনের বালাই নেই! রাজ্যের এই চরম অতিমারী পরিস্থিতিতে যেখানে অক্সিজেন, হাসপাতালের বেডের জন্য হাহাকার, ভ্যাকসিনের জন্য উদভ্রান্ত হয়ে ফিরছে সাধারণ মানুষ, সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এমন পদক্ষেপকে বিজেপি চাণক্যের ‘রাজনৈতিক চাল’ হিসেবেই দেখছেন রাজনীতিকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, "নির্বাচনে হেরে প্রতিহিংসা পরায়ণ গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্য বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা, সেই ফাঁদে দিলেই মুশকিল!" সেই প্রেক্ষিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের আইন মেনে চলার বার্তা দিয়েছেন। একই পথ অনুসরণ করলেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) এবং তারকা নেত্রী সায়নী ঘোষও (Saayoni Ghosh)।
ব্যারাকপুরের মানুষের উদ্দেশে বিধায়ক রাজের বার্তা, "১০৮ ব্যারাকপুর বিধানসভার সমস্ত তৃণমূল (TMC) কর্মীদের জানানো হচ্ছে যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে শান্ত এবং বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ করছেন। এটা বিজেপির একটা চক্রান্ত, আপনারা সেই চক্রান্তে পা দেবেন না। ওরা চাইছে আমরা অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ি। কিন্তু আমরা ওদের প্ররোচনায় পা দেব না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো আমরা বাড়িতে থাকব। এবং শান্তি বজায় রাখব।"
অন্যদিকে বিজেপিকে কটাক্ষ করে রাজ্যের শাসক দলের তারকানেত্রী সায়নী ঘোষের মন্তব্য, "ওরা যা চাইছে, সেই ফাঁদে পা দেবেন না। বাংলার সমস্ত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের অনুরোধ করছি, লকডাউন তথা কোভিডবিধি ভেঙে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবেন না। আইনের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে। তাই আইনের হাতেই ছেড়ে দিন বিষয়টা। আমরা জানি আমাদের কাছে দিদি আছেন, তাই চিন্তা নেই।"