Mimi Chakraborty: তারকাদের রাজনীতিতে প্রবেশ নেহাতই নতুন ঘটনা নয়। অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীরা কেউ কেউ বেশ সফল রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয়, তাঁরা রাজনীতি ছেড়ে দিলেও দলের নাম কিন্তু তাঁদের সঙ্গে থেকেই যায়। সেরকমই মিমি চক্রবর্তী একজন। প্রাক্তন এই সংসদ কেবল ৫ বছরের জন্য পদে ছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি আর দাঁড়াননি।
কিন্তু, মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে এবার গুণের ডালি সাজিয়েছেন আরেক রাজনীতিবিদ। তাঁর দলীয় নেতা যে এভাবে তাঁকে প্রশংসায় ভরাবেন, হয়তো বা তিনি আশাও করেননি। কিন্তু আলোচনার বিষয় হল, মিমির রাজনীতি নিয়ে তাঁকে কিছুই বলতে শোনা গেল না। বরং সিনেমাটিক মিমিকে নিয়েই নিজের সমাজ মাধ্যমের পাতা ভরিয়ে দিলেন তিনি। কাজের নিরীক্ষে প্রশংসা করা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু মিমির আসন্ন সিরিজ ডাইনি নিয়ে কথা না বলে, তাঁকে পূর্বের কিছু কাজ নিয়েই বলতে শোনা গেল।
একটি ছবি শেয়ার করেছেন সেই রাজনীতিবিদ। যেখানে দেখা যাচ্ছে ঠান্ডা মরশুমে, পরনে শীতপোশাক, আর মিমি উষ্ণ চা - এ চুমুক দিচ্ছেন। অভিনেত্রীকে সেই ছবিতে লাগছে বেশ স্নিগ্ধ। আর তাঁকে নিয়েই সেই রাজনীতিবিদ মিষ্টি শব্দে লিখছেন..."একে মিমিকে পর্দায় আমার দারুণ লাগে; তার উপর আমি চা-ভক্ত। তাই ফিনল্যান্ড ভ্রমণে মিমির এই চা-তৃপ্তির ছবিটি দেখে মুগ্ধ। ভারি শক্তিশালী অভিনেত্রী।"
এরপরই তিনি শুরু করলেন, তাঁর কাজের প্রশংসা করা। একেকটি ছবি থেকে বেছে নিলেন চরিত্র। তারপর, কোন চরিত্রে তাঁর কী কী বিষয় ভাল লেগেছে, সেকথাই জানালেন তিনি। সেই রাজনীতিবিদের কথায়...
"যোদ্ধা'র রাজকুমারী সাজসজ্জার থেকে 'বোঝে না সে বোঝে না'র সাধারণ লুকটিই যেন অসাধারণ। 'রক্তবীজ'এ 'সংইউক্তা' করেছে ফাটিয়ে। এর মধ্যে দেখলাম 'আমারো প্রাণ যাহা চায়' রবীন্দ্রসঙ্গীতটি চমৎকার গেয়েছে। যদিও প্রাক্তন সাংসদ তারকার সঙ্গে আমার আলাপ নেই, তবু, রবিবাসরীয় সকালে পর্দার প্রিয় মুখটির চা-তৃপ্তির ছবিটি পোস্ট করলাম।"
উল্লেখ্য, তিনি আর কেউ নন, বরং তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ। অভিনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। এখন তাঁর এই পোস্ট আদৌ মিমির ঘর বাপসি কিনা সেই ইঙ্গিত কিন্তু মেলেনি। বরং, বেশিরভাগ এমনই বলছেন.. তাহলে কি আপনার জীবনে বসন্ত এসে গিয়েছে?