একুশের বিধানসভা ভোটের আগে যেভাবে দলবদলের হাওয়া শুরু হয়েছে, এবার হিরণও নাকি জোড়া ফুল শিবির ছেড়ে এবার পদ্ম শিবিরের দিকে ঝুঁকছেন। জোর জল্পনা রাজনৈতিকমহলের অন্দরে।
রাজ্য-রাজনীতি বর্তমানে সরগরম। গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে রাজনীতি মিলে মিশে একাকার। কারও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর জল্পনা হাওয়ায় ভাসছে, কেউ বা আবার দলবদলের হাওয়ার মাঝেই রাজ্যের শাসক দলে যোগ দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচন এখন মধ্যমণি। ভোটের আগে রাজ্য-রাজনীতিতে দল-বদলের হাওয়া। একের পর এক তৃণমূল নেতামন্ত্রী শিবির বদলাচ্ছেন। শনিবারই সকাল বেলা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়াদের সঙ্গে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এবার সন্ধে নামতেই শোনা গেল, টলিউডের আরেক অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও (Hiran Chatterjee) নাকি এবার গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকছেন।
হিরণ চট্টোপাধ্যায় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ছিলেন হিরণ। তবে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে যেভাবে দলবদলের হাওয়া শুরু হয়েছে, এবার হিরণও নাকি জোড়া ফুল শিবির ছেড়ে এবার পদ্ম শিবিরের দিকে ঝুঁকছেন।
দীর্ঘ দিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রির কোনও ছবিতে তাঁকে সেভাবে দেখা যায় না, এদিকে টলিপাড়ার এই অন্যতম মুখ রাজনীতির মঞ্চেও সেভাবে সক্রিয় নন। তাই কী এবার পরিবর্তনের লক্ষ্যেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার মনস্থ করেছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়? প্রশ্ন তো উঠছেই।
অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক শিবির যেভাবে ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের আগে ভোট প্রচারের বিশেষ দায়িত্ব বর্তেছে তারকা-সাংসদদের উপর। নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তী, শতাব্দী রায় ও দেবের উপর কড়া নির্দেশ দলনেত্রীর। সোহম চট্টোপাধ্যায়ও রয়েছেন সেই তালিকায়। তবে হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েই উঠছে প্রশ্ন? টালিগঞ্জে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়াতেই কি অভিনেতার গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার নেপথ্যে একমাত্র কারণ? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরেই।