বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার চিরঞ্জিৎ। আর ভোটে লড়তে চান না তিনিও। বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অব্যাহতি চাইলেন। বর্ষিয়ান অভিনেতা জানিয়েছেন, "অব্যাহতির কথা আগেই জানিয়েছি দলনেত্রীকে। অনেক বয়স হয়েছে। এবার একটু বিশ্রাম নিতে চাই। আমি আবার নিজের জগতে ফিরে যেতে চাই।" তবে ভোটে না দাঁড়ালেও অন্য দলে যাচ্ছেন না বলে স্পষ্ট করেছেন চিরঞ্জিৎ।
বিধানসভা ভোটের মুখে তৃণমূল ত্যাগের হিড়িক পড়েছে। একাধিক নেতা-মন্ত্রী তো বটেই, টলিউডের তারকারাও ভিড় জমাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে। অন্যদিকে, মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে আর ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কয়েকজন। কিছুদিন আগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবিরঞ্জন ভোটে না দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। এবার চিরঞ্জিতও সেই পথে হাঁটলেন। তাও এমন দিনে, যেদিন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন একঝাঁক টলি তারকা।
একের পর এক সহকর্মী রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। অনেকে দলবদল করছেন। ভোটের মুখে যাঁরা রাজনীতিতে আসছেন তাঁদের সম্পর্কে চিরঞ্জিতের মন্তব্য, ‘‘যাঁরা যে যে দলে যোগ দিচ্ছেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। সেটা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমি শুধু বলতে চাইছি যে, আমি আর ভোটে লড়তে চাইছি না। সেটা জানিয়েই দলনেত্রীর কাছে অব্যাহতি চেয়েছি। এখন দেখা যাক, উনি কী বলেন।’’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বারাসত থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বাংলার বিখ্যাত অভিনেতা চিরঞ্জিৎ। দূরদর্শনের সংবাদ সঞ্চালক দীপক চক্রবর্তী থেকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের দিকপাল অভিনেতা চিরঞ্জিৎ। অনেক চড়াই-উতরাই গেছে কেরিয়ারে। বলে রাখা ভাল, ২০১১ সালেও প্রথমে ভোটে দাঁড়াতে চাননি তিনি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের গুণগ্রাহী ছিলেন চিরঞ্জিৎ, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, "কিন্তু উনি বলেছিলেন, সরকার গঠন করতে গেলে ১৪৮টা আসন দরকার। তাই আমার ভোটে দাঁড়ানোও দরকার। ওঁর কথায় আমি সেবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম এবং জিতি।
২০১৬ সালেও চিরঞ্জিতের আপত্তি শোনেননি দলনেত্রী। সেবারও তাঁকে ভোটে দাঁড়াতে হয়েছিল। জিতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর পারছেন না। দলনেত্রীকে জানিয়েছেন বিষয়টা। এবার দেখার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী সিদ্ধান্ত নেন।