/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/05/Raj-2.jpg)
ভোটে জিতলে ময়দানে আর টিকিটিও পাওয়া যাবে না! তারকা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অনেকেই এমন মন্তব্য করেছিলেন। খোঁটা শুনতে হয়েছিল বিরোধী শিবিরের তরফেও। তবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভুলে যাননি রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। কথা দিয়েছিলেন বিধায়ক হয়ে মানুষের সুখ-দুঃখের ভাগীদার হবেন। সে কথা রেখেছেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক। ব্যারাকপুর (Barrackpore) এবং তৎসংলগ্ন এলাকার মানুষেরা যাতে যথাযথ কোভিড পরিষেবা পান, তার জন্যে অতি তৎপরতার সঙ্গে দিন কয়েক আগেই ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে মিনি কোভিড হাসপাতাল গড়ার কাজে হাত দিয়েছেন। এবার রাজ চক্রবর্তীর উদ্যোগে টিটাগড়ে (Titagarh) চালু হল ৩০ শয্যার এক কোভিড সেফ হোম (Covid Safe Home)।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/05/raj1-1.jpg)
টিটাগড়ে গিয়ে বুধবার এই সেফ হোমের উদ্বোধন করেন তারকা বিধায়ক। সংশ্লিষ্ট সেফ হোমে মোট ৩০টি বেড রয়েছে। যার মধ্যে ২০টি পুরুষদের জন্য এবং বাকি ১০টি মহিলাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সাপোর্টের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি থাকছেন চিকিৎসক-নার্সরাও। এছাড়াও পাওয়া যাবে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। কোভিড রোগীদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করবে পুরসভাই, জানিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) তারকা বিধায়ক খোদ। নব নির্বাচিত বিধায়ক রাজের এমন উদ্যোগে খুশি টিটাগড়বাসীও।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/05/raj2.jpg)
প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুর মহকুমায় করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা উত্তর ২৪ পরগণায় সবথেকে বেশি। উপসর্গহীন কিংবা যাঁদের অল্পমাত্রায় উপসর্গ রয়েছে, এমন কোভিড রোগীদের সঙ্গে অনেকেই এক বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছেন। একই শৌচালয় ব্যবহার থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে। উপরন্তু, হাসপাতালেও পর্যাপ্ত পরিমাণ শয্যার অভাব। সেই সমস্যা দূরীকরণেই টিটাগড় পুরসভা পরিচালিত মাতৃসদনে সেফ হোম চালু করলেন রাজ চক্রবর্তী। পাশাপাশি টিটাগড়ের জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কেএমডি-এর আধিকারিক এবং টিটাগড় পুরসভা কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন রাজ।