অতিমারীর প্রকোপে যখন স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত। হাসপাতালে বেড, অক্সিজেন, ওষুধপাতির হাহাকার, সেই প্রেক্ষাপটে নিজস্ব কেন্দ্র চণ্ডীপুরের মানুষেরা যেন সমস্যায় না পড়েন, সেদিকে কড়া নজর মমতা-অভিষেকের বিশ্বাসভাজন তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। তাই প্রথমবার বিধায়ক হয়ে শপথবাক্য পাঠ করেই নেমে পড়েছেন ময়দানে।
ভোটপ্রচারের ময়দানে ঠিক যেমনটা খেটেছিলেন, তার প্রতিদানও পেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একনিষ্ঠ সৈনিক তিনি। রাজ্য-রাজনীতিতে পালাবদলের সময়ও দিদির হাত ছেড়ে যাননি। বরং দলীয় সংগঠন আরও মজবুত করতে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেরিয়েছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর (Chandipur) থেকে বিধানসভা থেকে তিনিই ছিলেন ঘাসফুল শিবিরের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) 'তুরুপের তাস'। দলের ভরসাও রেখেছেন। মা-মাটি-মানুষ মন্ত্রকে হাতিয়ার করেই সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন। প্রথমবার নির্বাচনী জয়ের স্বাদ পেয়েও কিন্তু থেমে থাকেননি, বরং আগের তুলনায় এবার লক্ষ্যে আরও অবিচল সোহম। অতঃপর বৃহস্পতিবার বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করার পরদিন-ই ছুটে গিয়েছেন নিজস্ব কেন্দ্রে। চণ্ডীপুরের বাসিন্দাদের অতিমারী পরিষেবা দিতে দৃঢ় প্রত্যয়ী তৃণমূলের এই তারকা সদস্য।
শুক্রবার চণ্ডীপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন সোহম চক্রবর্তী। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের নব নির্বাচিত বিধায়কককে সংবর্ধনা জানান। সেখানেই তাঁকে অতিমারী পরিষেবা তথা এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা যায়। সোহম বলেন, "এলাকার উন্নয়ন করাই হবে প্রধান লক্ষ্য। বর্তমানে করোনার কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হবে।"
প্রসঙ্গত, এর আগে ২বার ভোটে দাঁড়ালেও পরাস্ত হয়েছেন। তবে দলের প্রতি সদা একনিষ্ঠ থাকতে দেখা গিয়েছে সোহমকে। প্রতিদান হিসেবে পেয়েছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোর অফুরান ভালবাসা আর ভরসা। সেই প্রেক্ষিতেই শোনা যাচ্ছে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কোনও মন্ত্রীত্ব উপহার পেতে পারেন তারকা বিধায়ক। তবে এই প্রেক্ষিতে সোহমের মন্তব্য যদিও, "বিধায়ক হতে পেরেছি, সেটাই বড় প্রাপ্তি। মন্ত্রীত্বের ব্যাপারটা ঠিক করবেন দলনেত্রী। এই নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই!"