ভোটের আগে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের দায়ভার নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য বিজেপি। কথা ছিল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে 'চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড বিলি' করবে বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চা। কিন্তু ১৩ ডিসেম্বর রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে এই কর্মসূচী ঘোষণা করার পরও পিছিয়ে যায় তাঁরা। বেকায়দায় পড়েই কি এই কর্মসূচী বাতিল হল? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। রাজ্যের বেকারদের কর্মসংস্থানের আশার সলতেতে আগুন জ্বালিয়েও নিভিয়ে দেওয়ায় বিজেপির উদ্দেশে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) ।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার বেকারত্ব ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চায় বিজেপি। আর সেই উপলক্ষেই দলের যুব মোর্চার পরিকল্পনা ছিল যে, বাংলার বেকারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড বিলি করে আসবে তারা। অর্থাৎ বিজেপি ক্ষমতায় এল, এই কার্ড হোল্ডারদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। সেই সূত্র ধরেই গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে ময়দানে নামে তৃণমূল। এপ্রসঙ্গে নুসরতের মন্তব্য, "মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মুখোশ সকলের সামনে খুলে গেছে! বাংলার মানুষ কখনোই বিজেপির লোক ঠকানো মিথ্যের ফাঁদে পড়বে না!"
প্রসঙ্গত, এই কর্মসূচী নিয়ে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে সমালোচনার ঝড় ওঠার জন্যই নাকি পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। সূত্রের খবর তো অন্তত এমনটাই বলছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়, "আমরা চাকরি বলতে কর্মসংস্থান বোঝাতে চেয়েছিলাম।" দলীয় কর্মসূচী নিয়ে গেরুয়া শিবিরের এহেন ভোলবদলকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা তাপস রায়ও। তাঁর কথায়, "গোটা দেশেই বিজেপি এরকম নানা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। দেশের ২ কোটি বেকারের চাকরি কী হল!" সেই সূত্র ধরে পালটা দিতে ছাড়লেন না নুসরত জাহানও।
উল্লেখ্য, এর আগেও দেশে বেকারত্বের হার নিয়ে মোদীকে নজিরবিহীন খোঁচা দিয়েছিলেন সাংসদ নুসরত জাহান। কোনওরকম রেয়াত না করেই বলেছিলেন, “যুবপ্রজন্মকে অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন! আমাদের দেশে এত জনসংখ্যা, তার ভিত্তিতে যুবপ্রজন্মের জন্য কী করছেন নরেন্দ্র মোদি? ওদের ভবিষ্যতের জন্য কি শুধু বেকারত্বই রেখেছেন? দেশের তরুণ প্রজন্মের নাড়ি বুঝতে আপনি ব্যর্থ!”