"যাঁরা কিনা আপনার, আমার প্রাতঃরাশ, নৈশভোজের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের এহেন প্রতিদান? ছাত্রসমাজ হোক কিংবা কৃষক, দরকার নেই প্রতিবাদ করার!", কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে যাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন তাঁদের বিবেকের দিকে তীক্ষ প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে হাজার হাজার কৃষকের আন্দোলন দেখছে গোটা দেশ। ট্রাক্টর, ট্রলিতে করে শেষ সম্বলটুকু নিয়ে তাঁরা আজ রাস্তায় একজোট হয়েছে সদ্য পাশ হওয়া কৃষি বিলের বিরুদ্ধে। কী করোনা? কোথায় শীত? পেটের দায়, আগামী প্রজন্মের চিন্তায় ক্ষুব্ধ কৃষকরা ভীড় জমিয়েছেন রাজধানীর রাজপথে। যাঁদের কিনা 'ঠান্ডা' করতে রাস্তায় নেমেছে পুলিশ বাহিনী। গোটা দেশের মুখে যাঁরা অন্ন জোগান সেই অন্নদাতাদের প্রতিদানে জুটছে কখনও লাঠির ঘা, কখনও বা আবার অপমান। কেউ নীরব। আবার কেউ বা ‘সোশ্যালে সরব’! কৃষকদের প্রতি হওয়া এই অন্যায়-অবিচারে কেন নীরব দেশের 'তথাকথিত' শিক্ষিত সমাজের একাংশ? এবার সেই প্রেক্ষিতেই আওয়াজ তুললেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। কোনওরকম রেয়াত না করেই সাংসদের কটাক্ষ, "ছাত্রসমাজ হোক কিংবা কৃষক, দরকার নেই প্রতিবাদ করার!"
"রাতের খাবার খেয়েছেন তো? কী খেলেন ভাত, রুটি, সবজি?... কোন ডাল দিয়ে খেলেন? আর এই যে কৃষকগুলোর ছবি দেখছেন, ওঁরা আমার-আপনার মুখে প্রাতঃরাশ থেকে শুরু করে নৈশভোজের খাবারটা অবধি তুলে দেন। আর ওঁদের এই প্রতিদান ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এভাবে! ছাত্রসমাজ হোক কিংবা কৃষক, দরকার নেই তো প্রতিবাদ করার!", সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কৃষক আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে কৃশকদের দাবি অনুযায়ী কৃষি বিল যদি সংশোধন না করা হয়, তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই এবার কেন্দ্রের প্রতি তোপ দাগলেন মিমি চক্রবর্তী।