লকডাউনের সময় দুস্থদের যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন। নিজস্ব সংসদীয় এলাকার মানুষদনদের সুযোগ-সুবিধের দিকে নজর দিয়েছেন। খাইয়েছেন পথকুকুরদেরও। যখন যেভাবে পেরেছেন, মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন নিজের সাধ্যমতো। সাংসদ-নায়িকার এমন মানবিকতায় মুগ্ধ অনুরাগীরা। এবার ফের একবার এগিয়ে মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) এলেন দুস্থের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এক প্রতিবন্ধী তরুণকে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন।
"দিদি একটু সাহায্য করবেন", সাংসদ-অভিনেত্রীর নতুন গানের টিজারের বিজ্ঞাপনে অনুরাগীদের প্রশংসার মাঝেই উড়ে এসেছিল এক দুস্থ তরুণের আবেদন। কমেন্ট সেকশনে মেসেজের ভীড়ে নজর এড়ায়নি মিমির। সেই আবেদন চোখে পড়ার পরই অতি তৎপরতার সঙ্গে তার উত্তর দেন। শুধু তাই নয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন সাংসদ-নায়িকা। সাহায্যের আবেদন নিয়ে আসা ওই তরুণের উদ্দেশে লিখেছেন, "নিশ্চয় করব। তোমাকে যোগাযোগ করার নম্বরটা আমাকে মেসেজ করে পাঠাও।" উল্লেখ্য, বিষয়টি টুইট করেও আশ্বাস দিয়েছেন মিমি।
নন্দগোপাল জানা নামে বিশেষভাবে সক্ষম এক তরুণ মিমির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন যে, "দিদি আমার প্রমাণ নেবেন। আমি একজন প্রতিবন্ধী। আমাকে সাহায্য করুন। আপনাদের কাছে আমি টাকা চাইছি না। তবে আমার পা আগুনে পুড়ে গিয়েছে। আমাকে একটু সাহায্য করুন দয়া করে।" সেই আবেদন চোখে পড়তেই তড়িঘড়ি সাংসদ-অভিনেত্রী আশ্বাস দেন যে, তিনি নিশ্চয়ই সাহায্য করবেন।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই বেশ সক্রিয় মিমি চক্রবর্তী। এর আগেও ফেসবুক থেকে এক হারিয়ে যাওয়া দুস্থ বৃদ্ধের খবর পেয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সাংসদ। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে, তাঁর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করে, তাঁকে সুস্থ-স্বাভাবিক করে তুলে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। লকডাউনের সময় কলকাতায় কাজে এসে পথ হারিয়ে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। দশ মাস পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে ছিলেন। থাকতেন ফুটপাতে। খাবারও জুটত না ঠিকমতো। পায়ে ঘা হয়ে পচন ধরার মতো অবস্থা হয়েছিল। ফেসবুক থেকেই ওই ঘটনা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেখানে 'ভাইরাল চা কাকু'কে নিয়ে সবাই মশকরায় মেতে উঠেছিলেন, লকডাউনের সময় সেই মৃদুলবাবুর বাড়িতে নিজের প্রতিনিধি পাঠিয়ে অত্যাবশকীয় সামগ্রীও দান করেছিলেন। দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর এরকম একাধিক উদাহরণ রয়েছে মিমির ক্ষেত্রে। এবার এক প্রতিবন্ধী তরুণকে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। সংসদীয় কাজ, শুটিংয়ের পাশাপাশি তিনি যে বরাবরই মানবসেবায় এগিয়ে আসেন, তা আবারও প্রমাণ করলেন সাংসদ-অভিনেত্রী।