তারকা বলে কথা। তাই সাংসদ হওয়ার পর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজস্ব সংসদীয় কেন্দ্রে আর তাঁর পায়ের ধূলো পড়বে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। উঠেছিল নানা অভিযোগও। 'শুধুমাত্র পুজো আসলেই ফিতে কাটার অনুষ্ঠানে দেখা মেলে তাঁদের' সাধারণত, এমন চিন্তাধারাই পোষণ করেন অনেকে। ঠিক এমনটাই ভেবেছিলেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর সম্পর্কেও। তবে সেসমস্ত ধ্যান-ধারণা ইতিমধ্যেই বদলে দিয়েছেন যাদবপুরের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। তিনি যে মানুষের কাছাকাছিই রয়েছেন আবারও বুঝিয়ে দিলেন সেকথা। বৃহস্পতিবারই পাটুলি মেলা ময়দানে 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মিমি। এই কর্মসূচির উপভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক সত্তোরোর্দ্ধ বৃদ্ধাকে দেখে নিজেই আসেন সাংসদ। শুধু তাই নয়, তাঁকে সাহায্যও করেন।
উপভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই বৃদ্ধাকে দেখে এগিয়ে গিয়ে সাংসদ অভিনেত্রী তাঁকে সহায়ক টেবিলের সামনে নিয়ে আসেন এবং দ্রুত তাঁকে পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশও দেন। পাশাপাশি লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সকলকে বয়স্কদের সাহায্য করার জন্য অনুরোধও করেন মিমি।
প্রসঙ্গত, এদিনই মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য আবারও অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন সাংসদ। মহিলাদের ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার পর এবার আদিবাসী মহিলাদের জন্য ফুটবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বারুইপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে আদিবাসী মহিলাদের জন্য ফুটবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার পাইলেন গ্রামে তৈরি হয়েছে সেই ফুটবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এদিন সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়েই বল পায়ে দৌড়াতে দেখা গেল যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট ফুটবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম।
সূত্রের খবর, সপ্তাহে দু'দিন এই স্কুলে মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কলকাতার মেয়েরা যাতে কলকাতা ডিভিশনে খেলতে পারে, সেইজন্যই এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যেই এই লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার কামনাশীষ সেন। আপাতত প্রাথমিক অবস্থায় মোট ৬০ জনকে নিয়ে শুরু হয়েছে এই মহিলা ফুটবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তবে সপ্তাহে দু'দিন প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি এখানে আদিবাসী মহিলাদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হবে। উন্নতমানের প্রশিক্ষকরা বাইরে থেকে এসে এখানে প্রশিক্ষণ দেবেন বলে জানা গিয়েছে।