Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

'ইয়াস' মোকাবিলায় 'অতন্দ্রপ্রহরী' দেব, ঘাটালবাসীর জন্য 'বিশেষ বন্দোবস্ত' সাংসদের

কন্ট্রোলরুম খুলেছেন। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রিলিফ সেন্টারও চালু হয়েছে ঘাটালে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
dev

গতবার লকডাউনে আম্ফান, এবার চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’।এদিকে গোদের উপর বিষফোঁড়া 'সুপার স্প্রেডার' করোনা। রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই 'ইয়াস' (Yaas) মোকাবিলায় অতি তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ থেকে নিজস্ব কেন্দ্রের মানুষদের সুরক্ষিত রাখতে অতন্দ্রপ্রহরীর মতো প্রত্যয়ী সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবও (Dev)। অতিমারী সংকটের মধ্যেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা। তৃণমূলের তারকা সাংসদের বার্তা, “সময় যতোই কঠিন হোক, আমাদের লড়তেই হবে।”

Advertisment

দেব এও জানিয়েছেন যে, মহামারীর পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গেও আমাদের সকলকে এক হয়ে লড়তে হবে। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেই অতি সত্বর কন্ট্রোল রুমের নম্বরে যোগাযোগ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি ঘাটালবাসীকে। সাংসদ আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি সবসময় যে কোনও পরিস্থিতিতেই পাশে রয়েছেন।

টুইটারে একটি ভিডিও বার্তায় সাংসদ অভিনেতা জানান, ঘাটাল এবং মেদিনীপুর শহরে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ২টি বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। থাকছে পাওয়ার রেস্টোরেশন টিম। যাতে কোনও বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে কিংবা রাস্তার উপর খোলা তার পড়ে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। প্রয়োজন না হলে কাউকে ঝড়ের সময় বাইরে বের হতে নিষেধও করেন দেব। অনুরোধ করেছেন, যাতে সকলে বিদ্যুতের খুঁটি, ইলেকট্রিক তার, দুর্বল দেওয়াল কিংবা বড় গাছের নিচ থেকে দূরে থাকেন।

ঘাটালের প্রত্যেকটি ব্লকে ফ্লাড আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান দেব। এই সেন্টারের সংখ্যা ৯০০-রও বেশি। যদি কারও মাটির কিংবা দুর্বল বাড়ি থাকে, তাঁরা প্রয়োজনে সেই ত্রাণ শিবিরে গিয়ে থাকতে পারেন। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেগুলিতে আইসোলেশন সেন্টারের মতোই ব্যবস্থাপনা রয়েছে। সেখানে বিনামূল্যে মাস্ক এবং খাবারও দেওয়া হবে। কোভিড (COVID-19) রোগীদের জন্য আলাদা থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেখানেও সুরক্ষাবিধির খেয়াল রাখা হবে বলে জানান সাংসদ দেব।

যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে, তাঁদের মাটির বাড়ির অসহায় প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়ানোর আরজি জানিয়েছেন দেব। সকলকে নিজেদের ফোনে চার্জ এবং ঘরে মোমবাতি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি নিজের অফিসের নম্বরও দেন। যাতে ঘাটালবাসীদের কারও কোনও বিপদ হলেই চট করে তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন। পাশাপাশি দেবের আশ্বাস, তিনি সবসময় তৎপর রয়েছেন। এই কঠিন সময় একসঙ্গে পার করে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই কাহিনি উদাহরণ হয়ে থাকবে বলেই মত তারকা সাংসদের।

Dev West Bengal Ghatal Cyclone Yaas
Advertisment