করোনায় হাহাকার চারিদিকে। প্রিয়জনের দেহ সৎকার করতে গিয়ে নিদারুণ অভিজ্ঞার সাক্ষী থাকতে হচ্ছে আত্মীয়-স্বজনদের। বিভিন্ন রাজ্য থেকে জেলা সর্বত্র একই চিত্র ধরা পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুরের (Medinipur) ঘাটালের (Ghatal) সাংসদ দেব তাঁর সংসদীয় এলাকার সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এলেন। কারণ, ঘাটালেও কোভিড রোগীদের দেহ সৎকার করতে গিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আত্মীয়দের। এক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার শ্মশানঘাটগুলো লোকালয়ে হওয়ায় কোভিড রোগীর দেহ সৎকারে বাধা আসছে। অনেকক্ষেত্রেই স্থানীয়রা ভয় পেয়ে যাচ্ছেন সংক্রমণের আশঙ্কায়। ফলে, করোনায় মৃতদের দেহ নিয়ে স্বজনদের অনেকসময় ঘুরতে হচ্ছে এক শ্মশান থেকে অন্য শ্মশানে। এই পরিস্থিতিতে নয়া উদ্যোগ নিলেন সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Dev)।
লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে ঘাটাল পুরসভা এলাকার এক ফাঁকা মাঠে করোনায় মৃতদের দাহ করার জন্য তৈরি হচ্ছে শ্মশান। যেখানে শুধুমাত্র কোভিড (Covid-19) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, এমন রোগীদের সৎকার করা হবে। লোকালয় থেকে অনেকটা দূরে হওয়ায় স্থানীয়দের আশঙ্কাও আর থাকছে না। সংসদের এমন উদ্যোগে আশ্বস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, সাংসদ দেব যে উদ্যোগটা নিলেন, তার জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানাই। কারণ, রোগীদের আত্মীয়-স্বজনদের এযাবৎকাল মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়ে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।
দেবের মন্তব্য, "পরিকাঠামোর অভাব থাকায় এতদিন ঘাটালের কোভিড রোগীর দেহ সৎকার করার জন্য মেদিনীপুরে কিংবা খড়্গপুরে নিয়ে যাওয়া হত। ভাবতে অত্যন্ত খারাপ লাগলেও কোভিড রোগীদের দেহ সৎকারে জন্য আলাদা শ্মশান তৈরির করা উদ্যোগ নিতে হল আমাকে। অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েক ঘণ্টা মৃতদেহ পড়েছে। কিংবা সৎকার করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। ঘাটালবাসীর এই সমস্যা দেখেই তৎক্ষণাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। এবং লিখিত দিই। উনি সবুজ সংকেত দেওয়া মাত্রই তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু হয়।"
প্রসঙ্গত, এর আগে ঘাটালে অতিমারী মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ দেবকে। কমিউনিটি কিচেন খুলেছেন। কোভিড রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার খোলা থেকে শুরু করে বিনামূল্যে সেখানে অক্সিজেন দেওয়া কিংবা খাবারের বন্দোবস্ত করেছেন। এবার কোভিড রোগীদের দেহ সৎকারের জন্য আলাদা শ্মশান তৈরি করে দিলেন। যাতে এলাকাবাসীকে আর নাজেহাল না হতে হয়।