বাংলার জমিতে ঘাসফুল না পদ্ম ফুটবে? সেই প্রশ্ন এখন পাড়ার চায়ের ঠেক থেকে হেঁশেল অবধি। রাজ্য রাজনীতি যেমন সরগরম, তেমনই সাধারণ মানুষরাও একপ্রকার বিভ্রান্ত কোন ভোটবাক্সের পাল্লা ভারী করবেন, তা নিয়ে। একুশের বিধানসভা নির্বাচন যে বাংলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা ইতিমধ্যেই ঠাহর করতে পেরেছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যের শাসকদল কিংবা বিরোধী শিবির, কেউই কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে দিতে নারাজ। কাজেই ভোটের আগে জনসংযোগ বৃদ্ধি দরকার। আর সেই প্রেক্ষিতেই 'দিদি কে বলো'র পর তৃণমূলের নয়া উদ্যোগ 'দিদির দূত'। নয়া অ্যাপ। যে অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই পৌঁছনো যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিদের কাছে। আর সেই নয়া অ্যাপের হয়েই প্রচারে নেমেছেন 'দিদির দূত' মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) এবং নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)।
'দিদি কে বলো'র সাফল্যের পরই একুশের নির্বাচনী ময়দানে নামার আগে তৃণমূলের নয়া স্ট্র্যাটেজি 'দিদির দূত' (Didir Doot App)। যারা দ্বারা খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে রাজ্যের শাসকদলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরবারে। লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও অনায়াসে জননেত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে পারেন বার্তা। ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকেই এই অ্যাপ চালু হয়েছে। তৃণমূলের তরফে ঘোষণার পর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই সাড়াও ফেলেছে ব্যাপক। ইতিমধ্যেই 'দিদির দূত' অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লক্ষ। তবুও আসন্ন নির্বাচনী প্রচারে দলনেত্রীর নির্দেশে তারকা সাংসদরা বিশেষ তৎপর। তাঁদের কাঁধেও দায়িত্ব রয়েছে। কারণ, রাজ্য-রাজনীতিতে দল-বদলের দিনে তাঁরাই তো 'দিদির দূত'।
মঙ্গলবারই সাংসদ নুসরত জাহান একটি ভিডিও পোস্ট করে দিদির স্বপ্নের বাংলা গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যবাসীকে। যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর সোশ্যাল ওয়ালে উঁকি মেরেও জানা গেল সেই অ্যাপের কথা।
"দিদির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান? দিদির ভাবমূর্তির বার্তাবাহক হতে চান? তাহলে আজই প্লে-স্টোরে গিয়ে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন", জানালেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরত জাহান। মিমির মন্তব্য, "এটা এক ধরনের মোবাইল অ্যাপ, যা রাজ্যবাসীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করবে।"