দিন কয়েক আগেই মৌসুনী দ্বীপে গানের ভিডিও শুট করতে গিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। বড়দিনেই অনুরাগীদের উপহার দিতে চলেছেন সেই গান। তবে অভিনেত্রী এবং গায়িকা হওয়ার পাশাপাশি তিনি তো একজন সাংসদও। তাই বোধহয় যেখানেই যান মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা জানার চেষ্টা করেন। চেষ্টা করেন তাঁদের সমস্যায় জর্জরিত জীবনের শরীক হওয়ার, ওই দুস্থ মানুষগুলোর যাতে কিছু উপকার হয়, সেই চেষ্টারও ত্রুটি রাখেন না। সেই ভাবনা থেকেই লকডাউনে বহু দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবারও তার অন্যথা হল না। মৌসুনী দ্বীপে নিজের গানের ভিডিও শুট করতে গিয়ে সেখানকার স্থানীয়দের সুবিধে-অসুবিধের কথা শুনলেন। প্রতিশ্রুতি দিলেন আমফানে বিপর্যস্ত মৌসুনীকে (Mousuni Island) পুনরায় ঘুরে দাঁড় করাবেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/12/mimi1-3.jpg)
আমফানের পর মাসের পর মাস কাটলেও মৌসুনী দ্বীপ কিন্তু এখনও পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কারও বাড়িঘরের উড়ে যাওয়া চাল ঠিক হয়নি তো আবার কারও বা চাষআবাদের জমিতে নোনা জন ঢুকে উর্বরতা নষ্ট হয়েছে। কেউ বা আমফানের জন্য সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন। দীর্ঘ কয়েক মাস কাটলেও এখনও দুশ্চিন্তার ভাঁজ যায়নি তাঁদের কপাল থেকে। শুটিং করতে গিয়ে সেসব মানুষদের কথাই শুনলেন সাংসদ অভিনেত্রী। তাঁদের দুর্দশা মিমির মনকে নাড়া দিয়েছে। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, মৌসুনী দ্বীপের সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে এখানকার মানুষদের জীবনযাপন উন্নত করা সম্ভব। আর সেই ভাবনা থেকেই তিনি বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি প্রস্তাবপত্র পাঠানোর কথা মনস্থ করেছেন।
সাংসদ-অভিনেত্রীর বক্তব্য, অনেকেই মালদ্বীপের সৌন্দর্যের কথা বলেন। তবে মৌসুনী জায়গাটা সৌন্দর্যের দিক থেকে কোনও অংশে কম নয়। জায়গাটা যদি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়, তাহলে ওখানকার মানুষদের জীবনযাপন অনেক উন্নত করা সম্ভব হবে। সেই উদ্যোগটাই নিতে চান মিমি। আর সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানোর জন্য প্রস্তাবপত্র তৈরি করছেন তিনি।