একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতি এবং গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির ‘মাখো-মাখো’ সমীকরণ। ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের জালে ইন্ডাস্ট্রির অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই এখন তলানিতে। দোষারোপ, কাদা ছোঁড়াছুড়ি। অনেকেই এই বিষয়টিকে 'সবই রাজনৈতিক ময়দানের মায়াজাল' বলে আখ্যা দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন। সেই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি যেমন দেব-যশের শুভেচ্ছা বিনিময় ইন্ডাস্ট্রির কাছে এক নয়া উদাহরণ প্রতিস্থাপন করেছে, অন্যদিকে আবার মিমি-পার্ণোর গোয়ার এক ভাইরাল ভিডিও ঘিরে সূত্রপাত হয়েছে নয়া জল্পনার।
মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) তৃণমূল সাংসদ। অন্যদিকে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন পার্ণো মিত্র (Parno Mitra)। সেদিক থেকে একে-অপরের বিরোধী পক্ষ। তবে এই মুহূর্তে দুই বান্ধবী গিয়েছেন গোয়ায় ঘুরতে। আর সেখানেই জ্বলে উঠেছে জল্পনার স্ফুলিঙ্গ। তাহলে পার্ণো কি এই দল-বদলের হাওয়ায় রাজ্যের শাসক দলে নাম লেখাতে চলেছেন? অনেকেই ছুঁড়ে দিয়েছেন এই প্রশ্ন। কারণ, ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও পার্ণো মিত্রকে কোনও দিনই সেভাবে দলীয় কাজকর্মে দেখা যায় না।
ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, যশরাজ মুখাটের একটি গানে একসঙ্গে নাচ করছেন পার্নো এবং মিমি। সঙ্গে রয়েছেন টলিউডের মেক-আপ আর্স্টিস্ট সন্দীপ ঘোষাল এবং আরও এক বান্ধবী। বৃহস্পতিবার সেই ভিডিও মিমি আপলোড করেন ইনস্টাগ্রামে। সেখান থেকেই শোরগোলের সূত্রপাত।
এদিকে, মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে পার্ণো মিত্রর সখ্যতার কথা ইন্ডাস্ট্রির অনেকেরই জানা। দুই অভিনেত্রীর রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও বন্ধুত্ব তার জন্যে এতটুকুও নষ্ট হয়নি। দেখা হলে এখনও কথা-আড্ডা হয়। উপরন্তু জন্মদিনেও দুজন দুজনের ছবি পোস্ট করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। অন্যদিকে রাজনীতির ময়দানে তৃণমূল (TMC) সাংসদ মিমি বেজায় সক্রিয় হলেও গত লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েও পার্ণোকে সেভাবে ময়দানে দেখা যায় না। অন্যদিকে আবার আসন্ন নির্বাচনের জন্য পদ্ম কিংবা ঘাসফুল দুই শিবিরের স্টার-স্ট্র্যাটেজিই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলায় কেউই কাউকে একচুল জমি ছেড়ে দিতে নারাজ। কাজেই, তৃণমূল-বিজেপি শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা যখন বাংলার সিংহাসন দখলের লড়াইয়ে ব্যস্ত, তখন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও এই মুহূর্তে গোয়া ভ্রমণে গিয়ে মিমি-পার্ণোর সখ্যতাকে কিন্তু একেবারেই 'সাদা' চোখে নিতে নারাজ রাজনৈতিক মহলের একাংশ!