হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভোট প্রচারে (West Bengal Assembly Election 2021) গিয়ে পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন। বাঁ পায়ে প্লাস্টার। পায়ের পাতায় অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তবুও দমবার পাত্রী নন। বেডে শুয়েই উদ্বিগ্নমহলকে আশ্বস্ত বার্তা পাঠালেন," ২-৩ দিনের মধ্যেই ফিরছি। হুইলচেয়ারে ঘুরতে হবে। তবে ম্যানেজ করে নেব।" অভিভাবক 'প্রিয় দিদি'কে এমন অবস্থায় দেখে কেঁদে ফেললেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)।
শুক্রবার রাত থেকেই এসএসকেএম (SSKM Hospital) চত্বরে উপচে পড়েছে ভীড়। সঙ্গে গগনভেদী চিৎকারে স্লোগান- “মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ।” রাজ্যের মানুষের মনে মমতার বাস কতটা, ঠাহর করা গেল উত্তাল জনতার সেই ভীড় দেখেই।
বৃহস্পতিবার সকালে এসএসকেএম-এ অসুস্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে আসেন মিমি। মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। একেবারে আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন সাংসদ-নায়িকা। যাঁর বিচরণ সর্বত্র, সাধারণ মানুষের হয়ে যিনি সবসময়ে পথে নেমে প্রতিবাদ করেন। নিজের শরীরের পরোয়া না করেই প্রতিবাদী সুর তুলে হেঁটে চলেন রাস্তার পর রাস্তা। সেই 'দিদি'-ই আজ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন। কিছুতেই যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না মিমি চক্রবর্তী। অতঃপর মমতাকে দেখে বেরনোর পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। কথা বলার মাঝে কান্নায় গলা বুজে আসে সাংসদ-নায়িকার।
ধরা গলাতেই বলেন, "খুব কষ্ট হচ্ছে। আজ শিবরাত্রি। আপনারা সবাই প্রার্থনা করুন, দিদি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। বাকি সব তার পর ভাবা যাবে।" গত লোকসভা ভোটের আগে 'দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই যে তাঁর রাজনৈতিক ময়দানে অভিষেক ঘটে, সেই প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন আবেগতাড়িত হয়ে। মুখ্যমন্ত্রী যে তাঁর কাছে অভিভাবকের মতোই, সেকথা একাধিকবার মিমি বলেছেন। আজ আবারও হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁর মুখে শোনা গেল সেই একই কথা। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই রাজনীতিতে আসার মতো একটা বড় সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পেরেছেন। তাঁকে ছাড়া কখনই এটা সম্ভব হত না। তাই আজ সেই দাপুটে মানুষটিকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে দেখে মিমির চোখে জল।