প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), এমন দাবি তুলেই ২৪ ঘণ্টা তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের (EC) তরফে। সোমবার রাত ৮ টা থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত প্রচার করতে পারবেন না তৃণমূলনেত্রী। যার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই রাজপথে ধরণায় বসেছেন মমতা। এবার দলনেত্রীর হয়েই প্রতিবাদী সুর তুললেন তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। ধিক্কার জানালেন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে।
নুসরতের মন্তব্য, "এটাই বিজেপির (BJP) আসল পরিবর্তন! আপনারা প্রকাশ্যে শীতলকুচি-কাণ্ডের মতো আরও গণহত্যার হুমকি দিতে পারেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি সরকারের ক্ষমতায়নে কেন্দ্রীয় বাহিনির এহেন কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেই, তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল! নির্বাচন কমিশনকে ধিক্কার।"
তৃণমূলের তারকা সাংসদের মতে, গণতন্ত্রকে খর্ব করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই মমতার উপর নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারি করাকে 'গণতন্ত্রের কালো দিন' হিসেবে দেখছেন নুসরত জাহান।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা ছিলেন,”সংখ্যালঘু ভাই-বোনেদের কাছে হাতজোড় করে একটা কথা বলব, "ওই শয়তান ছেলেটা বিজেপির টাকা নিয়ে বেরিয়েছে। ওর কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না। ও সাম্প্রদায়িক কথা বলে। বিজেপি টাকা নিয়ে বেরিয়েছে যাতে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হয়ে যায়। মনে রাখবেন, বিজেপি আসলে দুর্ভোগ আপনাদের বেশি, এটা মাথায় রাখবেন।” তৃণমূল সুপ্রিমোর এমন মন্তব্যের মধ্যেই উসকানির গন্ধ পেয়েছে কমিশন। যার জেরে তাঁর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে মমতার ব্যাখা যদিও, “ধর্মীয় উসকানি দিতে চাইনি। আমি হিন্দু ভাই-বোনেদের বলেছি, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করবেন না।” তবে এতে কমিশনের কাছে চিঁড়ে ভেজেনি! সেই প্রেক্ষিতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান আওয়াজ তুললেন।