সম্প্রতি একাধিক কর্মসূচী নিয়ে বঙ্গসফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি, স্মৃতি ইরানি একের পর এক বিজেপির কর্তাব্যক্তিত্বদের এহেন ঘন ঘন বঙ্গসফরের লক্ষ্য একটাই- একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় পদ্ম ফোটানো। সেই প্রেক্ষিতেই নাড্ডাও এসেছিলেন বাংলার মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করতে। গিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গড়ে। আর বীরভূমে নাড্ডার সেই জনসভাতেই নাকি গড়ের মাঠ ছিল! সেই ছবি টুইট করেই বিজেপিকে ফের একবার ব্যঙ্গাত্মক খোঁচা দিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)।
বীরভূমে পা রেখেই জেপি নাড্ডা এদিন তারাপীঠে পুজো দেন। এরপরই জনসভায় বক্তৃতা রাখেন। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভাতেই কিনা ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল গড়ের মাঠ, খালি চেয়ার। নজর এড়ায়নি নুসরতের। অতঃপর সেসব ছবি পোস্ট করে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধে টুইটও করে ফেললেন অতি তৎপরতার সঙ্গে।
বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের কথায় "খালি চেয়ার আর গড়ের মাঠ দেখে ভাল লাগছে যে জে পি নাড্ডাজি তাঁর বঙ্গসফরে এক্কেবারে উপযুক্ত সম্বার্ধনাই পেয়েছেন। বাংলার মানুষেরা আপনাদের জুমলা রাজনীতিকে চিরতরের জন্য প্রত্যাখ্যান করবে।"
তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন নুসরত জাহান। মাঝেমধ্যেই বিরোধী শিবিরকে কটাক্ষ করে তাঁকে টুইট করতে দেখা যায়। ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তাঁর সদস্যদের যাবতী কর্মকাণ্ডে তাঁর নজর তীক্ষ্ণ। দিন কয়েক আগে বাজেট নিয়ে যেভাবে মোদী সরকার ও নির্মলা সীতারমণকে বিঁধেছেন, ঠিক তেমনই আবার দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, নারী নিরাপত্তা থেকে শুরু করে কৃষক আন্দোলনের মতো জলন্ত ইস্যু নিয়েও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনায় সরব তিনি।