তারকা বলে কথা। তাই সাংসদ হওয়ার পর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজস্ব সংসদীয় কেন্দ্রে আর তাঁর পায়ের ধূলো পড়বে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। উঠেছিল নানা অভিযোগও। ‘শুধুমাত্র পুজো আসলেই ফিতে কাটার অনুষ্ঠানে দেখা মেলে তাঁদের’ সাধারণত, এমন চিন্তাধারাই পোষণ করেন অনেকে। ঠিক এমনটাই ভেবেছিলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান সম্পর্কেও। তবে সেসমস্ত ধ্যান-ধারণা ইতিমধ্যেই বদলে দিয়েছেন বসিরহাটের তারকা সাংসদ। তিনি যে মানুষের কাছাকাছিই রয়েছেন আবারও বুঝিয়ে দিলেন সেকথা।
সবাই যথাযথভাবে সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা, আগাগোড়াই কড়া নজরদারি থাকে অভিনেত্রী নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan)। তা খতিয়ে দেখতে দিন কয়েক আগেই নিজস্ব সংসদীয় এলাকা বসিরহাটে গিয়েছিলেন নুসরত জাহান। জনগনের সুবিধে-অসুবিধের কথা শোনেন। সরকারি কর্মসূচী 'দুয়ারে দুয়ারে' সম্পর্কে স্থানীয়দের বোঝান। এই অতিমারী আবহে গোটা লকডাউনে বসিরহাটের মানুষদের যাতে কোনওরকম কষ্ট না হয়, সেদিকেও খেয়াল রেখেছেন সাংসদ অভিনেত্রী। সংসদীয় এলাকার চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়েও দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। এবার বসিরহাটের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করে দিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী।
বুধবার সকালবেলা নাগাদ নিজের সংসদীয় এলাকা বসিরহাটে পৌঁছেছিলেন সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। বসিরহাটে পা রেখেই সোজা চলে যান সেখানকার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। নিজের সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বসিরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে একটি ICU ভেন্টিলেটর দেন নুসরত। এদিন সেই ICU ভেন্টিলেটর-এর উদ্বোধনও করেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
প্রসঙ্গত, হাসপাতালের কাজ সেরে সাংসদ এদিন বসিরহাট স্টেডিয়ামেও যান। নুসরতের সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার তথা বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসও। এদিনই বসিরহাট মহকুমা ক্রীড়াসংস্থার পরিচালনায় বসিরহাট স্টেডিয়ামে ৩দিন ব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ এবং খেলোয়াড়দের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত। এর পাশাপাশি গত বছরের সুপার ডিভিশন ও প্রিমিয়ার ডিভিশনের চ্যাম্পিয়নস ও রানার্স ফুটবল ক্লাবের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাংসদ, অভিনেত্রী নুসরত জাহান।