ভোটে জিতে তারকা প্রতিনিধিরা নাকি ময়দান থেকে উধাও হয়ে যান! প্রায়ই এমন অল্পবিস্তর খোঁটা শুনতে হয় রাজনৈতিক শিবিরে নাম লেখানো তারকাদের। সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty) ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। তবে প্রথমবার নির্বাচনী জয়ের স্বাদ পেয়েই বিধায়ক অভিনেতা নেমে পড়েছেন ময়দানে। নিজস্ব কেন্দ্রের অতিমারী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা, প্রয়োজনমাফিক বন্দোবস্ত করা, কোনও কিছুরই কসরত ছাড়েননি সোহম। ঘূর্ণীঝড় ‘ইয়াস’ (Yaas)-এর প্রকোপ থেকে নিজস্ব কেন্দ্রের মানুষদের সুরক্ষিত রাখতে অতি তৎপরতার সঙ্গেই কন্ট্রোল রুম খুলে ফেলেছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের জন্য চালু করেছেন ত্রাণশিবিরও। তবে তাতেই থেমে থাকেননি চণ্ডীপুরের নব নির্বাচিত বিধায়ক। ইয়াস আছড়ে পড়ার পরই নিজস্ব কেন্দ্রে এক হাঁটু জল নিয়েই বেরিয়ে পড়েন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।
কোনওরকম তারকাসুলভ আচরণ নেই। হাঁটু অবধি জমা জলে, পায়ে হেঁটেই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন সোহম চক্রবর্তী। চণ্ডীপুরের কোথায় কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কোন মানুষ দুর্যোগের কবলে পড়েছেন, খোঁজ নিতেই বিধায়কের এমন উদ্যোগ। আর তৃণমূলের তারকা বিধায়কের এমন মানবিক আচরণে মুগ্ধ চণ্ডীপুরবাসী। ভোটপ্রচারের ময়দানে কথা দিয়েছিলেন, আমজনতার সুখ-দুঃখের ভাগীদার হবেন। তার অন্যথা হয়নি। আজ দুর্যোগের দিনেও তিনি বেরিয়ে পড়েছেন নিজস্ব কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
শুধু ঘূর্ণীঝড় মোকাবিলাই নয়, পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির দিকেও কড়া নজর সোহমের। বুধবার সকালেই চন্ডীপুর বিধানসভার ভগবানপুরে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বিশিষ্ট ৬০ সজ্জার একটি কোভিড সেফ হোম চালু করেছেন তিনি। ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ঠিক পাশেই। যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত তাঁরা সবাই স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এখানে এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারবেন বলে জানান বিধায়ক। অতি শীঘ্রই চন্ডীপুর ব্লকেও চালু হবে কোভিড সেফ হোম, বর্তমানে যার কাজ চলছে।
এছাড়াও ঝড়ের তাণ্ডব থেকে বাঁচাতে কিছু মানুষকে রিলিফ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উপরন্তু তাঁদের যাতে কোনওরকম অসুবিধে না হয়, সেই বিষয়গুলিও নিশ্চিত করেছেন সোহম চক্রবর্তী নিজে।