সক্রিয় রাজনীতিতে নেমেই টিকিট পেয়েছিলেন। প্রথমবারের নির্বাচনী পরিক্ষার্থী হিসেবে চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রচারের ময়দান কাঁপিয়েছেন। কিন্তু বাঁকুড়ার মতো শক্ত পদ্মঘাঁটির পিচে ২মে শেষ হাসি হাসতে পারেননি সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। তবে হেরে গিয়েও দমে যেতে রাজি নন তৃণমূল শিবিরের প্রতিনিধি। কয়েকটা ভোটের ব্যবধানে হারলেও ভুলে যাননি বাঁকুড়াবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো। তাই এমন অতিমারী সঙ্কটের দিনেই সায়ন্তিকা এগিয়ে এলেন সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে। বাঁকুড়ার (Bankura) কোভিড আক্রান্তদের (Covid-19) জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করলেন। পাশাপাশি, কোনওরকম দরকার পড়লে আপৎকালীন সাহায্যের জন্য যোগাযোগ নম্বরও দিয়েছেন সায়ন্তিকা।
Advertisment
প্রচারের ময়দানে নেমে গোড়া থেকেই বলেছিলেন যে বাঁকুড়ার মানুষের সঙ্গে তাঁর আত্মীক যোগ তৈরি হয়েছে। ভোটবাক্সে পরাস্ত হয়েও সেই সম্পর্ক ক্ষুণ্ণ হয়নি। তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর মন্তব্য, "বাংলা বাংলার রায় দিয়েছে, বাংলার মেয়ের কাছেই বাংলা থাকছে। তৃতীয়বারের জন্য আমাদের অভিভাবিকা হিসেবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Mamata Banerjee) পেয়ে আমরা গর্বিত।" বাঁকুড়া প্রসঙ্গে বলেছেন, "এবার আসি বাঁকুড়ার কথায়, আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম বাঁকুড়া আমার নিজের পরিবার। তাই ব্যালটের রেজাল্ট কিংবা কয়েকটা ভোটের ব্যবধানে আমার প্রতিশ্রুতিগুলো বদলয়ানি। প্রথম দিনের মতোই আজকের দিনেও আমি ঠিক একই কথা বলব, সুখে না থাকতে পারি দুঃখে অবশ্যই থাকব।"
উল্লেখ্য, ২০১৯-এর লোকসভায় পিছিয়ে থাকা আসনকে সায়ন্তিকা খানিক এগিয়ে এনেছেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021)। সদ্য রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়া অভিনেত্রীর কাছে এই গতি নিঃসন্দেহে সাফল্যের চেয়ে কম কিছু নয়। অতিমারিকালে তাই টলিউডের চাকচিক্য থেকে বেরিয়ে বাঁকুড়ার মানুষের পাশে 'দিদির প্রিয় প্রাত্রী' সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্জি জানালেন, "মাস্ক পড়ুন এবং ভ্যাকসিন অবশ্যই নিন।"