বাঁকুড়ার (Bankura) গরমেও প্রচারে গিয়ে ধামসা মাদলের তালে নেচে মাত করলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। জনসাধারণের মাঝে ঘরের মেয়ের মতোই মিশে গিয়ে কথা বললেন। প্রচারের ফাঁকে কখনও বা কচি-কাঁচাদের হাত ধরে আদর করলেন। আবার কখনও বা নায়িকাকে দেখা গেল আদিবাসী গ্রামে গিয়ে গৃহবধূর হাত থেকে কুলো নিয়ে সর্ষে ঝাড়াইয়ের কাজ করতে।
তারকাসুলভ আচরণ অতীত। ভোটপ্রচারের ময়দানে নেমে এ যেন ইন্ডাস্ট্রির তারকা নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ সৈনিক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক যেমন মা-মাটি-মানুষে ভরসা রাখেন দলনেত্রী, তেমনটাই দেখা গেল তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর ক্ষেত্রেও। দিদির মতোই আদিবাসী নৃত্যে মেতে উঠলেন। রাঢ় বাঁকুড়ার মানুষের শিরা ও ধমনিতে বয়ে চলা আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে দিলেন।
রাজনৈতিক ময়দানে নেমেই একুশের বিধানসভা ভোটে (West Bengal Assembly Election 2021) নির্বাচনী টিকিট পেয়ে ট্রোলড হয়েছেন বটে! কিন্তু সেদিকে ভ্রক্ষেপের সময় অবধি নেই সায়ন্তিকার। ভোটের মুখে নিন্দুকদের আমলই দিতে চান না তিনি। নেটজনতার একাংশ বলছেন, এটাই ‘তরুণ তুর্কীদের স্পিরিট!’ মাথায় চড়া রোদ। নেই ছাতা। গ্ল্যামার জগতের বাইরে এ এক অন্য দুনিয়া। কিন্তু তাতে দমবার পাত্রী নন তিনি। নিজের কেন্দ্রকে ভাল করে চিনতে জনগণের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন। গতবারের তৃণমূলপ্রার্থী মুনমুন সেনকে ভোট দিয়েও লাভ হয়নি বলে যাঁরা কটাক্ষ করছেন তৃণমূলকে, তাঁদেরও ঠান্ডা মাথায় সুচারুভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, 'হাতের পাঁচটা আঙুল এক নয়!'