মেলালেন, তিনি মেলালেন…! ভোটের বাজারে প্রচারে না হলেও দোল উৎসবে মিলেমিশে একাকার জোড়াফুল ও পদ্মফুল প্রার্থীরা। সায়নী ঘোষের মতে, তিনি 'বাংলার ক্রাশ'! আর সেই 'ক্রাশ'ই বিজেপি প্রার্থী তনুশ্রী, শ্রাবন্তী ও পায়েলের সঙ্গে একমঞ্চে। তাও আবার রং মাখাচ্ছেন একে অপরকে। এমনই দৃশ্য দেখা গেল রবিবার। কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী সবুজ আবির মাখিয়ে দিলেন বিজেপির তিন অভিনেত্রী-প্রার্থীকে। পাল্টা তাঁরাও কমলা আবির লাগালেন মদনের গালে। দোলের দিন রাজনীতির রংমিলান্তি গঙ্গাবক্ষে।
রবিবার এক সংস্থার উদ্যোগে দক্ষিণেশ্বরে গঙ্গাবক্ষে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানেই আমন্ত্রিত ছিলেন চার প্রার্থী। শুরু থেকেই চেনা মেজাজে ছিলেন মদন। সবাইকে আবির মাখানো থেকে শুরু করে ‘খেলব হোলি রং দেব না’, ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে’, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’, গানও গাইলেন চুটিয়ে । তিন এদিন বলেন, ‘‘আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন আমাদের সংস্কৃতি তো বাংলার সংস্কৃতি। আর বাংলার সংস্কৃতি হল ‘খেলব হোলি রঙ দেব না, তাই কখনও হয়।’ এটা দোলের উৎসব। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর উৎসব।’’
একদিকে যখন ভোটের উত্তাপ পথে প্রচারে। তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীরা একে অপরকে আক্রমণ করছেন, কেউ কেউ দেখে নেওয়ার, মারার হুমকি দিচ্ছেন। সেখানে উলটপুরাণ গঙ্গাবক্ষে লঞ্চের উপর। বাহারি পাঞ্জাবি ও চিরাচরিত কালো রোদ চশমা পরে ঢাক বাজালেন মদন, সেই তালে কোমর দোলালেন পায়েল-তনুশ্রী-শ্রাবন্তীরা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর সাফ কথা, ‘‘আজ তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম নয়, আজ রঙের উৎসব। আজ জেতা-হারার প্রশ্ন নেই, আজ শুধুই মজা।’’
রাজনৈতিক লড়াই ভুলে মদনের সঙ্গে শামিল শ্যামপুরের বিজেপি প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী, বেহালা পূর্বের প্রার্থী পায়েল সরকার এবং বেহালা পশ্চিমের প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র, ভাইরাল 'খেলা হবে' গানের জনক দেবাংশু ভট্টাচার্যও। প্রত্যেকেই রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে দোলের আনন্দে মাতলেন। তনুশ্রী বলেন, "মদনদা রাজনীতিটাও হালকা মেজাজেই করেন। ওনার কাছ থেকে সবার অনেক শেখার আছে।"