১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ। আর তাতেই নেটদুনিয়ায় অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে (Anirban Bhattacharya) নিয়ে ন্যাক্কারজনক মন্তব্যে ছেয়ে গিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটা অবশ্য দিন কয়েক আগেই চাউর হয়েছে। ১ সপ্তাহ আগে নেটদুনিয়ায় অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে নিয়ে বেজায় শোরগোল শুরু হয়। নেপথ্যের করাণ কী? কান পাতলেই ফিসফাস শোনা যাচ্ছে, "টলিউডের এই অভিনেতার নাকি নগ্ন ভিডিও বেড়িয়েছে!" ব্যস অমনি গেল গেল রব! "ব্যক্তিগত মুহূর্ত আবার কেউ এভাবে শুট করে নাকি.." গোছের হাজারো কথায় ছেয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। না জেনেই অনেকে আলটপকা মন্তব্য করে বসেন। এমনকী, অভিনেতার লিঙ্গের মাপ নিয়েও অশ্লীল মন্তব্য করতে পিছপা হন না তাঁরা, যাঁরা কিনা এতদিন ধর্ষণের বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদী বুলি আউড়েছিলেন। এমনকী, 'মেয়েদের চেহারার মাপ-জোঁক নিয়ে কথা বলা বারণ..' বলেও গলা চড়িয়েছিলেন। সেই তাঁরাই কিনা অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নগ্ন ছবি দেখে মশকরায় মেতে উঠেছেন। 'বডি শেমিং' করছেন। তাদের প্রতি একটা শব্দই বরাদ্দ- 'ছিঃ!'
নেপথ্যের কাহিনি না জেনেই অভিনেতাকে নিয়ে এমন মন্তব্য? প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। ১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপ আসলে পরিচালক জয়রাজ ভট্টাচার্যের ২০১৭ সালে তৈরি পলিটিক্যাল স্যাটায়ার 'ঘ্যাচাং ফু' নামক এক ছবির দৃশ্য। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে এদেশে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নগ্ন হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তাহলে কেন অনির্বাণকে নিয়ে এত অশ্লীল কথোপকথন? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন অনেকেই। এই ইস্যুতে অনির্বাণ ভট্টাচার্য অবশ্য কোনওরকম মন্তব্যই করেননি। তবে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছেন পরিচালক জয়রাজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ এক পোস্টে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এই অভিনেতাকে নিয়ে এই অশ্লীল মন্তব্য চালাচালি বন্ধ না হলে তিনি আইনি পথে হাঁটবেন।
পরিচালকের কথায়, "আমরা এই রুচির নিন্দা করছি, এ ছাড়া আর কী বা বলার আছে! অনেক ডিফিকাল্টি পেরিয়ে একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবি তৈরি হয়। অভিনেতা অনেক অধ্যবসায়ে নিজের ভালনারেবলিটি দৃশ্যমাধ্যমে নিয়ে আসেন। এইসব ছ্যাঁচড়ামি, সিনেমা থিয়েটার বানানোর এই পরিশ্রমসাধ্য প্রসেসটাকেই বাধা দেয়, নষ্ট করে।"