হাসপাতালের বিছানায় বসে আছেন টলিপাড়ার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা ফাহিম মির্জা। বর্তমানে জি বাংলার মিত্তির বাড়িতে অভিনয় করছেন তিনি। এক রাজনীতিবিদের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাকে। গতকাল রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন, তাকে নাকি অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। যথারীতি এই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতে তার ভক্তরা বেশ উদ্বিগ্ন। কিন্তু কী এমন হয়েছে তার?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা তরফে তার কাছে এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হেসে ওঠেন তিনি। যদিও হাসপাতালে নেই তিনি এখন বাড়িতেই আছেন। এবং বিশ্রামে আছেন। যেহেতু একটি ডেইলির সোপের মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন তিনি, তার উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু হাসপাতালে কি করে পৌছলেন তিনি? গুরুতর কিছু হয়েছে? ফাহিম প্রশ্নের জবাবে বললেন...
Bigg Boss Controversy: ত্রিকোণ প্রেমের বেড়াজাল, বিগ বসের সেটে আত্মহত্য…
"আসলে ছোট থেকেই আমি খুব ক্রিকেটের ভক্ত। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সেলিব্রিটি ক্রিকেট লীগ হয়। আমাকে একজন বলে যে তুই খেলবি? অনেকদিন প্র্যাকটিস ছিল না। সেই ক্রিকেট খেলতে গিয়েই, জোরে একটা শট মারতে গিয়েই অবস্থা হয়েছে।" অভিনেতা জানান প্রথমে বুঝতে পারেনি যে এত জোর লেগে যাবে। অভিনেতার ডান হাতের লিগামেন্ট এবং টেন্ডান - দুটোই ছিঁড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাঙালি প্রথমেই কিছু হলে ডাক্তারের কাছে যায় না। সে নিজেই নিজেকে চিকিৎসা বিদ্যা প্রয়োগ করতে শুরু করে। ফাহিমের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছিল।
অভিনেতা হাসতে হাসতে বলেন, আসলে আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি যে এত জোর লেগে গেছে। ভেবেছিলাম হয়তোবা মাসেল পুল হয়েছে। প্রথম প্রথম তো পেইনকিলার খেয়েই সারার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু দেখছিলাম যেই ব্যথার ওষুধের সময় ফুরোচ্ছে, আরো প্রচন্ড মাত্রায় ব্যথা হচ্ছে। তারপরে আমি ভাবলাম যে না এটাতো ফিজিওথেরাপি দেখা দরকার। যিনি ফিজিওথেরাপিস্ট ছিলেন তিনি অনেক সিনিয়র। উনি আমাকে দেখে বললেন যে এটা তো আমি ভালো বুঝছি না, তুমি একটা এমআরআই করাও। এত বীভৎস যন্ত্রণা হচ্ছিল। তারপর যখন রিপোর্ট এলো, দেখলাম ছিঁড়েই গিয়েছে। অপারেশন ছাড়া কোন রাস্তা ছিল না। ডাক্তার বললেন যদি এটা না হয় তাহলে আরো আমার হাতটা উইক হয়ে যাবে। এবং দিনের পর দিন ব্যথা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে।
যদিও অভিনেতা জানান তিনি এখন বাড়িতেই বিশ্রামে আছেন। হাসপাতাল থেকে তাকে তাড়াতাড়ি ডিসচার্জ করে দেওয়া হয়েছে।