যাব যাব করছিলেনই। সেকথা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা আগেই জানিয়েছিল। লক্ষ্মীবারে রাজ্য থেকে অলক্ষ্মী বিদায়ের লক্ষ্যে বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নামখানার ইন্দিরা ময়দানে অমিত শাহের সভায় গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি। সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল অনেক দিন আগেই। বুধবার অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরদিনই হিরণও একই পথে হাঁটলেন।
রাজীব, বৈশালি, রুদ্রনীলরা যেদিন দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন সর্বভারতীয় জনতা দলের শরীক হওয়ার জন্য, সেদিন সন্ধে নাগাদই শোনা গিয়েছিল যে, ঘাসফুল শিবিরের আরেক তারকা নেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের পরিস্থিতিও নাকি এবার টলমল! ক্ষোভ রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের প্রতি। অতঃপর খুব শিগগিরিই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনিও। এবার সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়ল। বৃহস্পতিবার নামখানার সভায় অমিত শাহর উপস্থিতিতেই গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হলেন টলিউড অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
দীর্ঘ দিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রির কোনও ছবিতে তাঁকে সেভাবে দেখা যায় না, এদিকে টলিপাড়ার এই অন্যতম মুখ রাজনীতির মঞ্চেও সেভাবে সক্রিয় নন। তাই কী এবার পরিবর্তনের লক্ষ্যেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার মনস্থ করেছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়? এপ্রসঙ্গে হিরণের সাফ উত্তর, “অলক্ষ্মী বিদায়ই লক্ষ্য! বাংলা থেকে অলক্ষ্মী বিদায় করে লক্ষ্মী ফেরাতে চান। বাংলায় কর্মসংস্থান নেই, বাংলার যুবরা বাইরে চলে যাচ্ছে। তাঁদের ফেরাতে হবে।” এদিন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পা ছুঁয়ে প্রণাম করে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন হিরণ।
তা ‘দলে থেকে কাজ না করতে পারার’ অভিযোগ কি হিরণ চট্টোপাধ্যায়েরও রয়েছে? অভিনেতার কথায়, “আমি সাধারণ ঘরের ছেলে। আমজনতার দুঃখ কষ্ট বুঝি। আর রাজনীতি হল সমাজ এবং সিস্টেম পরিবর্তনের বিরাট বড় হাতিয়ার। হাতে ক্ষমতা না থাকলে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ আটকানো যাবে না। ২০১৪ সালে সেই স্বপ্ন নিয়েই একটা দলে যোগ দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম অনেক কিছু হবে। বাংলার পরিবর্তন হবে, কিন্তু রাস্তায় শুধু নীল-সাদা রং ছাড়া আর কিছুই হয়নি। হতাশ হয়েছি, এরপর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশজুড়ে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তাতেই যোগ দিতে যাচ্ছি। উন্নয়নের জন্য সর্বভারতীয় দলকেই ক্ষমতায় চাই।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন