হাত ছাড়লেন কাছের মানুষ। দীর্ঘদিন নিজের কাছে আটকে রাখার চেষ্টা করেছিলেন যে মানুষটাকে। যার উপস্থিতিতেই নিজের জীবনের সবকিছু খুঁজে পেতেন, সে মানুষটাই আজ আর নেই। প্রয়াত অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, সম্পূর্ণা লাহিড়ীর বাবা নীলাদ্রি লাহিড়ী। তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন। কিছুদিন আগেই শরীর হঠাৎ করে আবারও খারাপ হয়।
নীলাদ্রি বাবু ছিলেন, টলিপাড়ার অন্যতম চেনা মুখ। এছাড়াও নাট্য এবং থিয়েটার জগতে তাকে বহু অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। সিরিয়ালের মধ্যে মিঠাই, মহাপীঠ তারাপীঠ, জগদ্ধাত্রী, ছাড়াও নানান ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। পরিচিতি এসেছিল নাটকের মঞ্চ থেকে। মেয়ে সম্পূর্ণা ইন্ডাস্ট্রিতে বহুদিন ধরেই কাজ করছেন। তিনিও বেশ চেনা এবং পরিচিত মুখ। পরিচালনার কাজেও বেশ পটু এবং দক্ষ ছিলেন। কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল তার নাকি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।
অভিনেতার বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৬ বছর। অভিনেত্রী এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তার বাবার কিছুদিন আগে বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। কিন্তু বাবাকে আর ফেরাতে পারলেন না। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। তাঁর বাবার চলে যাওয়া তাঁর জীবনে সবথেকে বড় ক্ষতি। বাবাকে ঘিরেই তাঁর জীবন চলত সবসময়। শোকে আচ্ছন্ন অভিনেত্রী, নাকি ঠিক করে কথা বলার ক্ষমতায় নেই।
এক সংবাদ মাধ্যমকে নিয়েই জানিয়েছেন, বাবাই তার সব ছিলেন। তার সবকিছু শেষ হয়ে গেল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ফোন যেতেই গোলা ধরে এল তাঁর। বললেন, আজ চেকআপ ছিল। অপারেশনের পর সব ঠিকঠাক ছিল। আস্তে আস্তে সেরে উঠছিল। কোনও অসুবিধা ছিল না। বাবা তৈরি হচ্ছিল চেকাপে যাবে বলে। তারপরেই শরীরটা খারাপ লাগল। অভিনেত্রীর কথায়, মা চেষ্টা করছেন সবটা সামলে ওঠার। আছে একরকম! এই শোকটা কাটিয়ে উঠতে যে বহুদিন সময় লাগবে, সে কোথাও খুব স্বাভাবিক। প্রসঙ্গে কিছুদিন আগেই বাবার জন্মদিনে একটি সুন্দর পোস্ট করেছিলেন তিনি।
নানান সময় পরিবারকে নিয়ে সেলিব্রেট করতে দেখা যেত তাকে। এমনকি বাবা মার এনিভার্সারি ও দারুন ভাবে পালন করেছিলেন। কিন্তু, আজ সবই স্মৃতির পাতায়।