Manosi is in Hospital: মা হতে চলেছেন মানসী। সম্প্রতি বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাঁর মাম্মা গ্লো দেখে অনেকেই প্রশংসায় ভরিয়েছেন তাঁকে। গতকাল রাতে একটি এমারজেন্সি হয়ে যাওয়াতেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। সেই খবর নিজেই দিয়েছিলেন সমাজ মাধ্যমে। এমনিও তিনি ব্লগ করেন। সেখানে নানা ধরণের আপডেট দিয়ে থাকেন। এই খবরটাও তিনি নিজেই দিলেন।
মানসীকে দেখা গেল হাসপাতালের বিছানায় বসেই নানা গল্প করতে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন ছোট্ট একটা সমস্যা হয়ে গিয়েছিল বলেই জলদি জলদি ভর্তি হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, মেয়েকে যে জোড় করে দুধ বিস্কুট খাওয়ান, সেই প্রসঙ্গেও তিনি গিল্ট বোধ করছেন। কারণ তাঁর নিজের গলা দিয়ে এই খাবার নামছে না। অভিনেত্রী বললেন, "আমি বুঝতে পারছি ও কেন এটা খেতে চায় না।"
সেই সঙ্গে সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে খুব শীঘ্রই ছোট মানুষটি আসতে চলেছে। এই আনন্দে ডগমগ অভিনেত্রী এবং তাঁর পরিবার। এমনকি তাঁর পুঁচকে মেয়েটাও। মা অসুস্থ জেনে হাসপাতালে তাঁর জন্য বেশ কয়েকটি উপহার পাঠিয়েছে সে। স্বাভাবিক, মায়ের জন্য এবং সর্বোপরি নতুন আসন্ন অতিথির জন্য তাঁর মন কেমন। তাই তো মাসির হাত দিয়েই সুন্দর একটি চিঠি এবং উপহার পাঠিয়েছে সে।
হাসপাতালের বিছানায় যখন সে প্রতিটা মুহূর্ত গুনছে ঠিক তখন ভালবাসার এই চিঠি অনেকটা সাহস যোগায় মনে। অভিনেত্রীর উদ্দেশ্যে কী কী পাঠানো হল? তাঁর বোন সঙ্গে করে নিয়ে এসছেন, মেয়ের দেওয়া চিঠি, একটি খেলনা বন্দুক-পেন, একটি ঘড়ি এবং সঙ্গে অভিনেত্রীর ডায়েরি-পেন সঙ্গে একটি বই। একরত্তি মেয়ে চিঠিতে লিখেছে, "মা তোমায় অনেক ভালবাসি এবং আমার ছোট্ট বেবিকেও। তোমাদের দুজনকে অনেক আদর। টাটা।" এখানেই শেষ নয়। এই ঘড়ি আর বন্দুক-পেনের রহস্য কী? তাঁর বোনের কথা মতো, অভিনেত্রীর মেয়ে দাবি জানিয়েছে ভাই হলে বন্দুক-পেন দিতে, বোন হলে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ঘড়িটা দিতে।
তাঁর বুদ্ধি দেখে বেশ অবাক হয়েছেন নায়িকা। একরত্তি যে বুদ্ধি করে একাজ করবে যেন ভাবেনি সে। কিন্তু একা একা হাসপাতালে থাকতে তাঁর মোটেই ভাল লাগছে না। তাই তো বোনের কাছে অভিযোগের সুরে অনেক কথাই বললেন। কিন্তু বোন রাইমা সোজা দিদির ইমোশনাল কথায় গলে না গিয়ে বললেন একটু তো হাসপাতালে থাকতে হবেই না। বসে বসে টিভি দেখ নয়তো।