মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ফের একবার চিঠি গেল। পাঠালেন ওমেন্স ফোরাম অফ স্ক্রিন ওয়ার্কার্স এর সদস্যরা। অভিনেত্রীরা, মহিলা টেকনিশিয়ানরা জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই চিঠি পাঠিয়েছেন।
তাদের চিঠির বিষয় ঠিক এই, যে ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্থা এবং যৌন নিগ্রহের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিটি গঠন করতে হবে। লিঙ্গ নিরপেক্ষভাবে যে অত্যাচার চলে আসছে, তাঁর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন তাঁরা। আরজি করের প্রতিবাদে তাঁরা সরব হয়েছেন। তাঁর পাশপাশি চিঠিতে এও লিখেছেন, ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে পরিস্থিতি মোটেই ভাল না।
কী কী দাবি করেছেন তারা?
তাঁরা জানিয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে posh আইনের কোনও সঠিক ব্যবস্থা নেই। তাই এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা হওয়া প্রয়োজন। তাঁরা আরও লিখেছেন, মাইনরদের জন্য এখানে কাজের পরিস্থিতি সুখকর কর। এখানে, যেভাবে যৌন হেনস্থা হয়, তাঁর সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যায় না। অন্যায়ের আশা করি কিছু শাস্তি তো রয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে সুরক্ষা, শারীরিক এবং মানসিক দুটোই - আমাদের ক্ষেত্রে এটা থাকা উচিত।
এরপর তারা জানান, উপরের সমস্ত পয়েন্টকে উল্লেখ করেই আমরা বলছি, একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিটি গঠন করা হোক এই সাপেক্ষে। তাঁরা, যে ধরনের আইন pocso বা posh নিয়মাবলীর আওতায় পড়ে, সেটাও খতিয়ে দেখবে।
সেই চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, আমরা নানা রিপোর্টার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, এরকম একটি কমিটি নাকি গঠন হচ্ছে। কিন্তু, অনেকেই আবার দাবি করেছেন যে না এরকম কিছুই হয়নি, আবার কেউ হচ্ছে না, এমনটাও বলেননি। আমরা চাই, আপনাদের সাপোর্ট। সম্পূর্ন সহায়তা আপনাদের কাছে আমরা কামনা করছি।
তাঁর পাশাপাশি সেই কমিটিতে কিছু নিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে, যথা:
১. যৌন হেনস্থা এবং নির্যাতনের তদন্ত করা। সেটি শারীরিক, শাব্দিক, মানসিক এমনকি ডিজিটাল যাই হোক।
২. পশ এক্ট ২০১৩ অনুযায়ী সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা এবং রিভিউ করা। সমস্ত বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য হবে।
৩. নাবালিকাদের সম্পূর্ন সুরক্ষা এই ইন্ডাস্ট্রিতে। ২০১২ সালের পস এক্ট যা উল্লেখ করেছে...
৪. সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রদানের সঙ্গে নতুন করে সংগঠন। অর্থাৎ কী ধরনের কাজ, কাজের সময়, শারীরিক অসুস্থতা এবং কাজের পরিধি বৃদ্ধি, সুরক্ষা সঙ্গে ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট।