পরিচালক বনাম ফেডারেশন - টলিপাড়ায় বিবাদ তুঙ্গে! দুই পক্ষের একজোট হওয়াতেই যে সমাধান সম্ভব, ঠিক এমনটাই বলছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে রীতিমতো রব উঠছে লড়াইয়ের।
কিন্তু, এসবের মধ্যে শুটিং বন্ধ। গতকাল শুটিং হয়নি। সোমবার, স্টুডিও পাড়া একদম ফাঁকা। আর যারা এই সিরিয়ালের মুখ, কিংবা এতদিন ধরে নানা প্রজেক্টের মুখ হয়ে এসেছেন, তাঁদের অনুভূতি ঠিক কী? টলিপাড়ার অভিনেত্রীদের কাছে পুরোনো দিনের ইতিহাস জানতেই ফোন করেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন শ্রীলেখা মিত্র। অভিনেত্রীর কাছে ফোন যেতেই তিনি স্পষ্ট জবাব দিলেন...
আমি না এই বিষয়টা দেখতেই চাইছি না। শুনেছি, নানা সমস্যার কথা। আমার একটি প্রজেক্টের প্রি প্রোডাকশন চলছে, সেটার কাজ করছি। আগে জানো তো, সবকিছু এত রাজনৈতিক ছিল না। তখন ফেডারেশন ভাল কাজ করত। রক্তদান শিবির করত। এখনের মত এত রাইট উইং, তখন তো পুরোটাই বাম সরকার ছিল। ইদানিং, খুব রাজনীতি ঢুকে গিয়েছে। আগে এত সংসদ ছিল নাকি গিল্ড থেকে? কোনও পলিটিকাল পার্টির ইন্ডাস্ট্রি গত ব্যাপারে নাক গলানোর দরকার আছে কি? আমার কাছে তো এর কোনও যুক্তি নেই।
অভিনেত্রী আরও বললেন, "ফেডারেশন যখন কাউকে কাজ দিতে পারে না, তখন কেড়ে নেওয়ার কিছু আছে কি? এমন অনেক জায়গায় আছে ভাল কাজ করে কিন্তু সুযোগ পায়নি। বা ধরো, এই যে জুলুম বাজি, এতগুলো লোক নিতে হবে। যার এত বাজেট নেই। মানুষ কাজ করতে পারে না। এইগুলো তো ভয়ের জন্য। মানুষকে ভয় দেখিয়ে এমন করে দেওয়া হয়। হিটলারের একটা গল্প আছে। একটা মুরগির ডানা ছিঁড়ছে হিটলার, সে যন্ত্রণায় চিৎকার করছে। কিন্তু, তারপরেই আবার ওকে দানা খাওয়াচ্ছে। এটাও তো তাই। ওদের এমন করে দেওয়া হচ্ছে... আর আমি তো কাউকে ভয় পাইনা। কারওর থেকে দেনা পাওনা লেন-দেন নেই। কিন্তু, এটা যেটা হচ্ছে সেটা তো অতীতের বীজ বপনের ফলাফল।"
শুধু একা শ্রীলেখা নন। বরং এই প্রসঙ্গে আরও বললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরী। বাবা অঞ্জন চৌধুরী একসময় ইন্ডাস্ট্রির চেনা মুখ, কোনোদিন কিছু শুনেছেন, বা অনুভব করেছেন? শুটিং হীন সকাল, অভিনেত্রী জানালেন, না গো, আজ শুটিং করিনি। কিন্তু তাঁর কথায় সাফ জানা গেল, আগে এরকম সমস্যার কথা বাবার কাছেও শোনেননি। তিনি বলেন, এতগুলো প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে রয়েছে, এতগুলো মানুষের খাওয়া পড়া, পরিবার সবটাই। দেখলাম, বুম্বা দা, বড়রা কিছু একটা করতে চাইছেন। একটা জায়গায় আসুক বিষয়টা। এভাবে তো চলতে পারে না। আমার মনে হয়, কিছু নিয়ম একটু ঠিক করা দরকার। যে এটাই করতে হবে, এটাই বলতে হবে। একবার দেখে নেওয়া উচিত। এখানে এত নিয়মের জট, যে প্রোডিউসাররা আসতে ভয় পায়।"