/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/26/RANk0kHjxKhCGN2bAMWK.jpg)
swastika mukherjee-tollywood: কোন প্রসঙ্গে একথা বললেন স্বস্তিকা? Photograph: (Instagram)
Swastika Mukherjee-Tollywood: কথায় বলে, মেয়েরা এখন এমন হয়ে গিয়েছে যে তেল মাথায় পাড়ার দোকানে পর্যন্ত যায় না। সেখানে ঘুরতে যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। আর সেখানে একজন অভিনেত্রী, যার সঙ্গে গ্ল্যামার শব্দটা জড়িয়ে আছে, আজ তাঁর নতুন স্টাইল সেগমেন্ট দেখলে অবাক হতে হয়। তিনি তাঁর মেয়ের ছোটবেলার দিনের সঙ্গে চুলে তেল দেওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। বরং, বর্তমানের সাজসজ্জাকে নিয়ে তিনি কটাক্ষ করে কী বললেন?
তাঁর মেয়ে যখন ছোট, হোস্টেলে থাকত, তখন প্রতি সপ্তাহে দুদিন করে চুলে তেল দেওয়ার দিন থাকত। সেসব ঘটনা তিনি নিজেই সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। লিখছেন, "মানি যখন পুট্টাপার্থী তে হোস্টেল এ পড়ত, সপ্তাহে দুদিন ওদের oil put দিন ছিল। ফোন এ বলত - মা আজকে আমায় তেল দেওয়া হয়েছে। আর ওয়ার্ডেন আন্টি বলেছেন জ্যাসমিন অয়েল না দিতে, কারণ এতে করে উকুন আসবে। তাই শুধু নারকেল তেল। মানিকে যখন দেখতে যেতাম, দুটো লম্বা সুন্দর বিনুনি ঝুলিয়ে আসত, মাথায় নারকেল তেল দিয়ে পরিপাটি করে বাঁধা। আমিও ছোটবেলায় এবং বড় বেলায় যতদিন লম্বা চুল ছিল, মাথায় তেল লাগিয়ে সর্বত্র গেছি। সময়ের সঙ্গে কখন যে চুল এ তেল মাখা বা তেলা মাথায় বাড়ি থেকে বেরোনোটা গাইয়া ব্যাপার হয়ে গেল বুঝলাম না। মা মাসিরা তো সারাজীবন চুলে তেল দিয়ে অফিস, সংসার, বাজার, বেড়াতে যাওযা সবই করল।"
কিন্তু, অভিনেত্রীর আক্ষেপ যে এখন জীবন একদম পাল্টে গিয়েছে। সবটাই এখন দেখন্দারিতে গিয়ে আটকে গিয়েছে। সবাই পার্লারে গিয়ে ওয়েল ম্যাসাজ নিচ্ছে। শ্যাম্পু করে ফেলছে। বাড়িতে তেল দেওয়ার পাঠ চুকে গিয়েছে দেখে তিনি বেশ অবাক। কিন্তু, দক্ষিণের বুকে সেসব এখনও আগের মতোই রয়েছে। তাঁরা এখনও জীবনকে আগের মত ধরে রেখেছে। একথা, অনেকেই বিশ্বাস করেন যে সেই প্রদেশের মেয়েদের চুল বেজায় সুন্দর। আর স্বস্তিকা আরও লিখছেন.. "সম্প্রতি একটা কাজ এ পন্ডিচেরি গেছিলাম। ওরা এখনও কেমন নিজেদের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে ধরে রেখেছে। সব করছে, বাড়িতে বাইরে কাজ, পড়াশুনো, আনন্দ হুল্লোর কিন্তু স্বাভাবিকতা রেখে। আমরা দিনেদিনে কেমন যেন একটা হয়ে যাচ্ছি আর এই শুধু লোক দেখানোর জন্য বেঁচে থাকা খুবই ক্লান্তিকর। সেদিন পন্ডিতে কাজ শেষে একটা আয়ুর্বেদিক জায়গায় গিয়ে খুব করে তেল মাখলাম। হলুদ ও মাখলাম। দোকানের মেয়েটি আমায় বারবার বলল - ম্যাম শ্যাম্পু করে নেবেন? ভাবলাম না করব না। মাথায় তেল থাকুক। এরম করেই প্লেন ধরে ফিরব। তাতে আমার স্টাইল স্টেটমেন্ট কতটা নষ্ট হয় দেখি। লোকে আমার দিকে - আমি অন্য গ্রহ থেকে এসছি মার্কা দেখছে কিনা তাও দেখি।"
যদিও অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি প্লেন ধরে বাড়ি এসেছেন। কেউ তাঁকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে দেখেননি। বরং, খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি বাড়ি এসেছেন। কিন্তু, অবাক হয়েছেন মানুষের বৈভবের প্রভাবে। তাঁরা কেন যে প্রতিযোগিতায় দুবেছেন সেকথাই ভেবে পান না। অভিনেত্রী শেষে আরও লিখছেন..
"অন্তঃসার শুন্য হয়ে খালি বৈভব প্রকাশ করার কম্পিটিশন… যাগগে, দিব্যি লোক সমাজে ঘুরে বেড়িয়ে, অটো লাইন এ দাড়িয়ে মাথায় এক গাড়ি তেল নিয়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে চলে এলাম। ইনস্টাগ্রাম এ ছবিও দিলাম। কিস্যু হলো না। আমি যে স্বস্তিকা মুখার্জি ছিলাম, তাই রইলাম। তেল মাথায় থাকলে যে দারুণ খোপা টা হয় সেটা বিশ্বের সবচেয়ে দামি জেল দিয়ে হয়না। এবার থেকে যখন ইচ্ছে হবে তেল দেব, বিনুনি বাঁধব। তোমরাও মেয়েরা, যেটা ইচ্ছে সেটা করো।"