বিজেপিতে যোগ দিয়েই রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, অরিন্দম শীলও (Arindam Sil) নাকি এবার গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন। সেই সময়ে যদিও পরিচালক-প্রযোজক রুদ্রর তোলা দাবি নস্যাৎ করে তুলোধোনা করেছিলেন অভিনেতাকে, তবে এবার কিন্তু অরিন্দমের পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে নারাজ রাজনৈতিক মহলের একাংশ। নেপথ্যে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার (Shanku Dev Panda) সঙ্গে টলিউড পরিচালকের সাক্ষাৎ।
সোমবার বিকেলেই সংশ্লিষ্ট বিজেপি নেতার সঙ্গে 'চায়ে পে চর্চা' সেরেছেন অরিন্দম শীল। যেখানে কিনা আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল 'সোনার বাংলা' গড়ে তোলা। আর সোমবার পরিচালকের সঙ্গে সেই চা-চক্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন খোদ বিজেপি নেতা। স্বাভাবিকবশতই অরিন্দমের বিজেপিতে যোগদানের সেই আগের জল্পনায় এই ছবিগুলি যে ঘৃতাহূতি দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। শঙ্কুর টুইটের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলের অন্দরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে যে, অরিন্দম শীলের বিজেপি যোগ দেওয়া এখন মাত্র সময়ের অপেক্ষা।
তা এই প্রসঙ্গে পরিচালকের কী মত? তিনি অবশ্য পদ্ম শিবিরে যোগদানের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, শঙ্কুদেব পাণ্ডা তাঁর বহুদিনের পরিচিত। তাঁর সঙ্গে চা খেতে খেতে অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। অতঃপর চা খেয়ে গিয়ে যদি বিজেপিনেতা শঙ্কুদেব তাঁর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন, তাহলে সেখান থেকে কি কোনওভাবেই প্রমাণিত হয় যে তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক। এই একই সুর যদিও জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে রুদ্রনীল ঘোষের গলাতেও শোনা গিয়েছিল। বাকিটা সবারই জানা।
অরিন্দম শীল গত কয়েক বছর ধরেই মমতা-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাই তাঁর গেরুয়া শিবিরে যোগ নিয়ে জল্পনা যখন চরমে, সেই প্রেক্ষিতে ধোঁয়াশা সাফ করাটাই স্বাভাবিক! তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, "বিজেপি-তে যোগদান করছি না। বিজেপি-র উপরমহল পর্যন্ত জানে, আমার এই সিদ্ধান্তের কথা।" পরিচালকের কথায়, তিনি এই মুহূর্তে কোনওভাবেই রাজনীততে আসছেন না। সিনেমাটাই বোঝেন, সেটাই করতে চান। রাজনীতিতে যোগ দিতে হলে, অনেক আগেই তিনি তা করে ফেলতে পারতেন বলে মত তাঁর। নিজেকে সামাজিকভাবে সচেতন একজন মানুষ বলেও জানান পরিচালক।
অন্যদিকে আবার, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর টলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রায় ৮০-১০০ জনের সঙ্গে দেখা করবেন বলে খবর। সেখানেও আমন্ত্রণ রয়েছে অরিন্দম শীলের। সেই সাক্ষাতে ইতিবাচক মতই দিয়েছেন পরিচালক। তবে তাঁর পাশাপাশি আবার এও পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, সিনেমা-সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা হবে বলেই ওই মিটিংয়ে যাচ্ছেন। কাজেই অরিন্দমের পদ্ম-যোগ না বিয়োগ, সেই সমীকরণ জানতে হলে আরেকটু অপেক্ষা তো করতেই হবে।