পরিচালক বনাম টেকনিশিয়ান - বাক বিতন্ডা তুঙ্গে। সারাদিন ধরে আজ টলিপাড়ায় শুটিং বন্ধ। সেই জায়গায় মিটিংয়ের পর মিটিং করছেন দুই গিল্ডের সদস্যরা। সন্ধ্যে আটটায় পরিচালকদের বৈঠকে বলতে শুরু করেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।
আজ দুপুরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন অনেকেই। আর সন্ধ্যে হতেই পরিচালক ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী জানিয়ে দেন, তৃতীয় পক্ষের কেউ থাকুক টলিপাড়ার রেগুলটরি বডি হিসেবে। আপাতত তারা কর্মবিরতি বজায় রাখছেন। এমনটাই জানিয়ে দিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তিনি আরও বলেন, বিষয়টা টেকনিশিয়ান এবং পরিচালক নয়। আসলে, যেটা মূল ভাবনা সেটায় নজর রাখা দরকার। প্রয়োগ প্রক্রিয়ার কিছু নিয়ম, সেগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করা দরকার। এমনকি, বিচার বুদ্ধি দিয়ে সেটার ভাবনা রাখা দরকার। কিছু রিভিউ দরকার।
তিনি আরও বলেন, "আমাদের পরিচালকরা চান, আলোচনা করতে। ওরা আমরা বিষয়টা নস্যাৎ করে দিচ্ছি। আলোচনার দরজা খুলে রাখার কথা বলা হয়েছিল ফেডারেশনের তরফে, আমাদের তাই রইল। আজকের আমাদের সিদ্ধান্ত, আগামীকাল আমরা কর্মবিরতি বজায় রাখছি। আমরা একটি তৃতীয় পক্ষের অর্জি জানাচ্ছি। যেহেতু বেশ কিছু প্রশ্ন আইন নিয়ে, নিয়ামক সংস্থার পরিধি নিয়ে উঠেছে সঙ্গে পুরো বিষয়টা সিনেমা- বিনোদন নিয়ে, তাই সেরকম জ্ঞানী একজন-দুজন মানুষ, থাকুক এটাই চাইছি। আমরা বাধ্য হচ্ছি বলতে, অপরপক্ষ যেন আমাদের এই ডাক গ্রহণ করেন।"
অন্যদিকে পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এর কথায়, "কোনও ছবি আমরা একা বানাই না। একটা পুরস্কার যখন আমরা হাতে পাই, তখন সেটা সকলের পুরস্কার। যারা কষ্ট করে কাজ করছেন তাদের এটা বলা, যে তুমি তো শ্রমিক, তোমাকে এ এটা বলছে, পরিচালকরা অনেক ওপরে, এটা করবেন না। অথচ এই মানুষগুলো যখন কাজ করতে আসেন, তাদের গায়ে গা লেগে আমরা বসি... আজকে সব হবে। উত্তেজনা হবে, স্লোগান হবে, কিন্তু সবাই যখন কাজ করবে, সকলের কিন্তু খারাপ লাগবে। মনে রাখবেন, কথা রয়ে যাবে, সময় চলে যাবে।"
টেলিভিশনের শুটিং পাশাপাশি বন্ধ। সেই সমস্ত পরিচালকদের কত খাটুনি, কত সময়ের পরিমাপ, কিন্তু তারা কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিচ্ছেন? এমনি নাকি ইচ্ছে হয়েছে তাই? ঝামেলা করতে মন চাইছে বলে? প্রশ্ন তুললেন ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী। তিনি জানালেন, "এর পেছনে দীর্ঘ ইতিহাস আছে বলেই তারা করছেন। তাঁরা একটা স্থায়ী সমাধান আছেন। দুই পক্ষই বলছেন তারা ঠিক। যে মুহূর্তে দুটো লোকের মতের অমিল হয় তখনই তিন নম্বর পার্টির দরকার পড়ে, আমরাও সেটাই চাইছি।"