চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই চিরঘুমে চলে গেলেন জগন্নাথ গুহ (Jagannath Guha), হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে বিস্ফোরক অভিযোগ। মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির প্রিয় 'জগাদা'। তাঁর প্রয়াণে বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে নিঃসন্দেহে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। আর এরপরই জগন্নাথ গুহর মৃত্যুর জন্য আলিপুরের এক নামী বেসরকারি হাসপাতালকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন অভিনেতা তথা পরিচালকের পরিবারের সদস্যরা এবং বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির একাংশ।
হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, "চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই জগন্নাথ গুহর মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, অভিনেতা-পরিচালকের মৃত্যুর পর একটি বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট করেন অভিনেতা সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন, সোমবার বিকেল ৪.১০ নাগাদ ডায়ালিসিসের ওই নামী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জগন্নাথ গুহকে। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি বাড়ির খাবার খান। এরপর ৬টা নাগাদ ডায়ালিসিস শুরু হয়। আধ ঘণ্টা পর দেখা যায় তাঁর চ্যানেল থেকে রক্ত বের হচ্ছে। তা আবার নজরে পড়ে পাশের এক রোগীর। তাঁরই চিৎকারে পরিচালককে ICCU-তে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ভরতি ফর্ম ভরতে বলা হয় হাসপাতালের তরফে। তার জন্য ৫০ হাজার টাকাও নেয় তারা। কিন্তু এদিন ডেথ সার্টিফিকেটে দেখা যায় জগন্নাথ বাবু প্রয়াত হয়েছেন সোমবার সন্ধে ৭.৪৫ মিনিটে।"
অভিযোগ কিন্তু এখানেই শেষ নয়। সোহন আরও বলেন,"এদিন সন্ধেবেলাই যদি মৃত্যু হয়, তবে গাড়ির চালক গোটা রাত হাসপাতালে থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে কিছু জানানো হয়নি? মঙ্গলবার সকাল ছ’টায় জানতে পারেন তিনি চিরঘুমে চলে গিয়েছেন।" এরপরই প্রশ্ন ওঠে যে তাহলে কেন ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল? তবে কি সঠিক চিকিৎসাই হয়নি তাঁর? এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চাওয়া হলে তাদের কথায় একাধিক অসঙ্গতি দেখা যায়।
এরপর অভিনেতা দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যও একটি ফেসবুক লাইভে এসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর কথায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সদুত্তর দিতে না পারায় ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলার দায় কে নেবে? জগন্নাথ গুহর মৃত্যুকে তিনি 'খুন' বলেও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।