Srijit Mukherjee 6 Films: শুক্রের রাতে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে। এবং, পরিচালককে স্বাস্থ্যের গতিবিধি বুঝেই দেওয়া হয়, আইসিইউতে। যদিও, গতকাল থেকেই শারীরিক অবস্থা ঠিক হতে শুরু করে। এবং আজ সকালে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। সৃজিত মুখোপাধ্যায় মানেই দারুণ কিছু ছবি। এবং বারংবার সেই পরিচয় তিনি দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি আলোচনায় রয়েছেন, তাঁর নতুন ছবি কিলবিল সোসাইটির জন্য। এবং ফের একবার এই ছবিতে তিনি দর্শকদের মন ভেঙেছেন। যদিও, তিনি মৃত্যুকে আরেকবার সেলিব্রেট করেছেন এই ছবিতে।
সৃজিত মুখোপাধ্যায় তাঁর ছবিতে বহুবার শেষ অধ্যায়ে এসে কাউকে না কাউকে মেরে ফেলেছেন। এবং, মৃত্যুকে সেলিব্রেট করেছেন তিনি। বিচ্ছেদ এবং যন্ত্রণার আসল রূপ দেখিয়েছেন তিনি নিজের ছবির মাধ্যমে। এবারও ব্যতিক্রম না। হেমলক সোসাইটির প্রায় ১২ বছর পর কিলবিল নিয়ে এসে পরমকে মেরেই ফেললেন তিনি! ১২ বছর ধরে আনন্দ কর বেঁচে ছিলেন দর্শকদের মনে, এরপরেও থাকবেন নির্দ্ধিধায়। তবে, সৃজিতের ছবি মানেই অনেক অচেনার মধ্যে বেশ সুন্দর একটা ম্যাসেজ। দেখে নেওয়া যাক, সেসব ছবিগুলি যেখানে মৃত্যুকে সিগনিফাই করেছেন সৃজিত।
২২ শে শ্রাবণ: এই ছবিতে কলকাতা এবং তাঁর এক অদ্ভুত সিরিয়াল কিলারের জগত দেখিয়েছেন তিনি। এমনকি, বলা উচিত, এই ছবিতেই সৃজিত প্রবীরবাবুকে যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, বাঙালির সারাজীবন মনে থাকবে। এই ছবির শেষে যদিও বা প্রবীরের মৃত্যু হয়।
হেমলক সোসাইটি এবং কিলবিল সোসাইটি: দুটি ছবির একজন চরিত্র কেবল মৃত্যুর থেকে বাঁচার উপায় বলে গেলেন। তিনি আনন্দ কর। একসময় মেঘনাকে বাঁচালেন, তারপর পূর্ণাকে। সঙ্গে, নিজের জীবনের শেষ অধ্যায়টা, শেষ সময়টা বেঁচে নিলেন ভালবাসার বাথটবে। এই ছবিতে সৃজিত মুখোপাধ্যায় একটা বিষয় শিখিয়েছেন, জীবনের সব রং শুধু ভালবাসায়। তাই মরার আগে বেঁচে নাও।
নির্বাক: এই গল্পে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বারবার বুঝিয়েছেন, মৃত্যুর পরেও ভালবাসা যায়। সুস্মিতা যীশু এবং ঋত্বিক অভিনীত এই সিনেমায় সুস্মিতা মরে যাওয়ার পরও মর্গে রাখা তাঁর বডির সঙ্গে ঋত্বিকের ভালবাসা ছিল দেখার মত। এই ছবিতেও তিনি মৃত্যুকে আর পাঁচটার মত না দেখিয়ে বরং টা কে উদযাপন করেছেন।
শাহাজাহান রেজেন্সি: মালটিস্টারার এই ছবিতে সৃজিত মানুষের ইমোশন এবং তাঁদের জীবনের করুন গল্পের নানা পরিচয় দিয়েছেন। এই ছবিতেও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় যিনি কমোলিনি হিসেবে অভিনয় করেছেন, তাঁর মৃত্যু যেন আলোচনা তুলে দেয়।
উমা: বাবা তাঁর মেয়ের জন্য ঠিক কী কী করতে পারে, সেটাই যেন এই ছবিতে দেখিয়েছেন তিনি। এক সন্তান যার হাতে মাত্র দু মাস সময় তাঁর জন্য তাঁর বাবা, গোটা কলকাতা শহরকে দুর্গাপুজোর আদলে সাজিয়ে দিতে পারে। এবং বলা উচিত, এই ছবিতেও মৃত্যুর খবরকেও উদযাপন করতেই শিখিয়েছেন তিনি।