রাগ নয়, ক্রোধ হচ্ছে! ভয়ঙ্কর ক্রোধ...বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়াণে তাঁর বাম সতীর্থদের পাশাপাশি শকে বিহ্বল বিনোদন জগতের বাম সমর্থকরা। সেই তালিকায় প্রথমেই আসে, অনিক দত্ত এবং কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের নাম।
প্রাক্তন, মূখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আবেগপ্রবণ গোটা বাংলা। আর যারা তাঁকে কাছ থেকে দেখেছেন তাঁদের সঙ্গে তো নিদারুণ সম্পর্ক ছিল তাঁর। রাজনীতির পাশাপাশি তাঁর ভালবাসা ছিল থিয়েটার এবং মঞ্চের প্রতিও। তাই তো, আজ পরিচালকরা তাঁকে নিয়ে নানা স্মৃতিচারণা করতে ব্যস্ত। সেই তালিকায় গৌতম ঘোষ থেকে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল - কে নেই?
আরও পড়ুন - Buddhadeb Bhattacharya Death: বুদ্ধবাবুর কোলে বসে রয়েছেন টলিপাড়ার অন্যতম অভিনেত্রী, ‘মামা’র প্রয়াণে ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়েছে তাঁর…
অনিক দত্ত তো তাঁর ভাবাদর্শে বিলীন। তাঁকে দেখেই জীবন যাপন করেছেন তিনি। অনিক লিখছেন, "আমাদের দোষ স্যার। আমাদের ক্ষমা নেই। তার ফল ভুগছি। আরো ভুগতে হবে।" আরেকটি পোস্টে লিখলেন, "শোক নয়। ক্রোধ হচ্ছে । ভয়ংকর ক্রোধ। গভীর অন্ধকারে কোথাও এককোনে নিভৃতে একটা ছোট প্রদীপ জ্বলছিল। সেটাও নিভে গেলো। আজ এখানে ক্ষমা চাইতে এসেছি। আমি চাই গান স্যালুট যেন না হয়।"
অন্যদিকে পরিচালক গৌতম ঘোষের স্মৃতিতে এমন এক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রয়েছেন যিনি পরিচালকদের পর্যন্ত ভাল আজকে অনুপ্রাণিত করতেন। তিনি বলছেন, "আমি, মৃণাল সেন, আমরা সকলে তাঁর কাছে ঋণী। আমি বিশেষ করে, কারণ? উনার জোরাজুরি এবং জেদের কারণেই আমি পদ্মানদীর মাঝি করেছিলাম"। গৌতম ঘোষের পাশাপাশি কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বেশ ভারাক্রান্ত। পরিচালক, বলছেন, "লাল সেলাম কমরেড। উনার আদর্শই তো সব। উনি একজন একনিষ্ঠ কমিউনিস্ট নেতা হিসেবে, একজন বাঙালি হিসেবে আমাদের মনে থাকবেন। পশ্চিমবঙ্গের অগ্রগতির কথা ভেবেছিলেন। বাঙালি হিসেবে তিনি সবসময় এগিয়ে থাকবেন।"
আরও পড়ুন - Buddhadeb Bhattacharya Death: ‘গুনী’ বুদ্ধবাবুকে হারিয়ে শোকাহত প্রসেনজিৎ, দেব বলছেন, ‘আপনি অনেক উঁচু মানের মানুষ…’
উল্লেখ্য, রাজনীতিবিদ বুদ্ধবাবু যত না জনপ্রিয় ছিলেন, তাঁর থেকে বেশি মানুষ বুদ্ধবাবু অনেকটাই জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর কাছের মানুষরা জানিয়েছেন, তিনি নানা সিজনে ফল খেতে ভালবাসতেন। আম খেতে ভালবাসতেন। কিন্তু, প্রিয় মানুষটিকে আজ বিদায় জানাতে শোকে ব্যাকুল কাছের মানুষরা।