বাড়ি এসে যদি এমন একজনের দেখা পাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না। অন্তত, তাঁকে কোলে নিয়েই যেন অর্ধেক ক্লান্তি মিলিয়ে যায়। অন্তত, শ্রীনন্দা শঙ্করের জীবনে ঠিক তাই হল। তিনি কলকাতায় পা রাখার আগেই জানতেন যে বাড়িতে দুষ্টু এক সদস্য অপেক্ষা করছেন, কিন্তু তাই বলে যে তাঁর এটুকু শরীরে...
তনুশ্রী শঙ্করের কন্যা শ্রীনন্দা, সমাজ মাধ্যমে দারুণ সক্রিয়। শুধু তাই নয়, তাঁকে দেখা যায় নানা ধরনের ভিডিও পোস্ট করতে। বাঙালি বাড়ির রান্না বান্না থেকে শুরু করে নানা রকমের খাবার দাবার, এমনকি এবার যাকে দেখালেন, সে আকারে ছোট হলেও শঙ্কর বাড়ির সবাইকে একদম ত্রস্ত করে রেখেছে। বিমানবন্দরে নামার পরেই শ্রীনন্দা জানিয়েছিলেন, বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা হবে। আর তাঁকে সামনে দেখে যেন কী করবেন বুঝে উঠতে পারলেন না তিনি।
বাড়িতে ঢুকেই আগে বড় চারপেয়ে বাচ্চাটার সঙ্গে একটু সাক্ষাৎ সেরে নিলেন। কিন্তু, তারপর? সামনে যাকে দেখলেন সেই তুর্তুরির কান্ড কারখানায় অবাক না হয়ে উপায় নেই। তাঁর মায়ের কারণেই বাড়িতে আগমন ঘটেছে তাঁর। সেই একরত্তিকে দেখে কী করবেন শ্রীনন্দা যেন ভেবে উঠতে পারলেন না। তাঁকে কোলে নিয়েই যেন স্তম্ভিত অভিনেত্রী। বললেন, এত হালকা কেউ কি করে হতে পারে? আবার তাঁকে এও বলতে শোনা গেল, এটুকু সাইজ?
আসলে, সেটি আর কিছুই নয় বরং আরেকটি চারপেয়ে ছানা। আর এই ছানাকে নিয়ে রীতিমতো আনন্দে আত্মহারা শঙ্কর পরিবার। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন তনুশ্রী শঙ্কর খোদ। হাতের পাঞ্জার থেকে একটু বড় সাইজ হবে। কিন্তু গলার আওয়াজ খানা খাসা। এটুকু বয়সেই এমন গলার আওয়াজ, যে সকলকে বকে দিচ্ছে সে। শ্রীনন্দাকে বলতে শোনা গেল, এটুকু শরীরে এতটা পার্সোনালিটি, যে ও মাকে বলে দিচ্ছে। ভাবা যায়? কিন্তু, এই পুঁচকে ছানার নাম কী?
তিনিই আলাপ করিয়ে দিলেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর নাম রেখেছেন টেডি শঙ্কর। শ্রীনন্দা বলছেন, ওর নাম টেডি শঙ্কর। আমার মা ওকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। আমাদের বাড়ির নতুন সদস্য। আমি জানি না আমি ওকে নিয়ে কী করব। কারণ ও খুব মিষ্টি।