Devi-Tollywood: ‘সেই মেয়ের ১৮ বছর বয়স হলেই আপনার মৃত্যু হবে... ‘, এহেন কথা শোনার পর প্রতিপক্ষকে কি আদৌ বাঁচিয়ে রাখতে ইচ্ছে হয়? তারপর যদি এভাবে কষ্ট করে, বলি দিয়ে কেউ তাঁর ক্ষমতার অধিকার করে থাকেন? এহেন প্যারানরমাল কান্ড কীর্তি বাস্তবের জীবনে খুব একটা দেখা না গেলেও, কিংবা সেই ঐতিহাসিক যুগ পেরিয়ে এলেও এবার সেই নিয়েই আসতে চলেছে দেবী।
এই ছবি আসলে মায়া এবং দেবীর গল্প। মায়া যে কালবুনির ঘন অরণ্যের এক ডাইনি, নিজের শক্তি বাড়াতে এবং স্বপ্ন পূরণ করতেই পিশাচের সাধনা করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, একটা সময় আশেপাশের গ্রাম থেকে সদ্যজাত কন্যা সন্তান তুলে নিয়ে সে আগুনে বলি দিতে শুরু করে। প্রায় ১০০টা কন্যা সন্তানকে বলি দেওয়ার পর পিশাচের তরফে তিনি বার্তা পান, এতকিছু করেও লাভ হয়নি। বরং, সামনে তাঁর ঘোর বিপদ। জোরালো এক শক্তি, যে দেবীরূপে আবির্ভূত হয়েছে, তাঁর হাতেই হতে পারে মায়ার মৃত্যু। সেই ম্যাজিকাল বাচ্চার ১৮ বছর বয়স হতে দেওয়া যাবে না। বরং...
মায়া শপথ নেয় যে সেই মেয়েকে আগেই ধ্বংস করবে সে। কিন্তু দেবী কোথায়? সে কি একেবারেই সাধারণ মানুষ? নিশ্চই না। তাঁর মধ্যেও আছে রহস্য। সেই মেয়ে এক মানুষ এবং ভূতের মিলিত সন্তান। তাঁর সুপার্ন্যচারাল শক্তি প্রসঙ্গে বাবা সূর্য প্রথম থেকেই জানে। তাই তো, আড়াল করার চেষ্টা করে সবকিছুর থেকে। কিন্তু, কথায় বলে বিধির লিখন খণ্ডন করা যায় না! হলোও তাই। মায়া এবং দেবী একে অপরের সম্মুখীন হলে কী হতে পারে? সেটাই তো ছবি।
এই ছবিতে মায়ার ভূমিকায় রয়েছেন অঞ্জনা বসু এবং দেবীর ভূমিকায় রয়েছেন রনিতা দাস। তাঁদের কেমন অভিজ্ঞতা হল এই ছবিতে কাজ করে? অঞ্জনা ভৌমিক বলছেন, "এরকম চরিত্র আমি করি নি। আমায় অনেক কিছু ঢালতে হয়েছে এই ক্যারেকটারের জন্য। পরিচালক সৌপ্তিক অনেকটা সাহায্য করেছে। রনিতার সঙ্গেও প্রথম কাজ। অন্যদিকে দেবী রনিতা? তাঁর কী বক্তব্য?
তিনি বলছেন, "দেবী অভিনয় করার জন্য একটি আকর্ষণীয় চরিত্র। সুপার পাওয়ারের অধিকারী একজন মানুষ কারণ সে একজন মানুষ ও ভূতের মেয়ে, এই চরিত্রটির বিভিন্ন শেড রয়েছে। বাংলা সিনেমায় সুপারহিরোইন প্লট থাকে না, তাই একেবারেই অন্যরকম কিছু।" ছবিতে আরও রয়েছেন সোমরাজ মাইতি, রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায় এবং অন্যান্য। রাহুল এই ছবিতে রনিতার বাবার ভূমিকায় অভিনয় করছেন।